শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১১

জামিন মঞ্জুরের পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

জামিন মঞ্জুরের পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিশেষ জজ আদালত। এ মামলায় সাক্ষীকে আবারও হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুই মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ মে তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এর আগে খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে এ দুই মামলার অন্যান্য আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে আদালতের চত্বরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সকাল নয়টা ৫৫ মিনিটের দিকে গুলশানের নিজ কার্যালয় থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

তিন মাস নিজ কার্যালয়ে অবস্থানের পর আজ বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মামলায় জামিন লাভের পর আদালত থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় ফিরেন তিনি। ২০ দল ঘোষিত ৫ই জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৩রা জানুয়ারি বিকাল থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয় খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে দুদক খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এরপর অসংখ্যবার মামলা দুটির শুনানির তারিখ পিছিয়ে ইতিমধ্যে কয়েক বছর পার হয়েছে। গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণও পিছিয়েছে কয়েক দফা। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়েছিলেন। এর পর কয়েক মাস ধরে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে যেতে পারেননি খালেদা জিয়া। গত ২৪ ডিসেম্বর যখন তিনি আদালতে গিয়েছিলেন, তখন পথে তাঁর গাড়িবহরে হামলা হয়েছিল। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিন মাস ধরে গুলশানের নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।

এদিকে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির কারণে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও নিজের রাজনৈতিক কার্যালয় ছেড়ে বের হননি খালেদা জিয়া। এমনকি ছেলের মৃত্যুর ঘটনায়ও তিনি ঘোষিত কর্মসূচি শিথিল করেননি। কর্মসূচির কারণে ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ও ২৬শে মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধেও শ্রদ্ধা জানাতে যাননি তিনি। অবশেষে আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে ৯২দিন পর কার্যালয় থেকে বের হন বিএনপি চেয়ারপারসন।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024