আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে এগিয়ে থাকার পরও জনগণের উপর স্বাস্থ্য জরিপ পরিচালনায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে ভারত। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য তথ্য না থাকার কারণে জনগণের অপুষ্টি ও স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। আর এসব তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়ার পরও স্বাস্থ্য জরিপে ভারতের পিছিয়ে থাকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস-এর প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের মানুষ প্রচণ্ড রকমের অপুষ্টির শিকার হওয়ার পরও দেশটিতে গেল দশ বছরে কোনো স্বাস্থ্য জরিপ পরিচালিত হয়নি। এছাড়া ভারতে জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য জরিপ পরিচালিত হয়েছে ১৩ বছর আগে। অথচ ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশসহ বাকি দুটি প্রতিবেশী দেশে দুটি করে জরিপ পরিচালিত হয়েছে।
ইকোনমিক টাইমস জানায়, গেল দুই দশকে ইউনিসেফের সহায়তায় ১শ’টিরও বেশি দেশে মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে পরিচালিত হয়ে আসলেও ২০০০ সালের দিকে এমআইসিএস থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। চলতি বছর এমআইসিএস’ এর কার্যক্রমের ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে জরিপ পরিচালিত হয়েছে ৫টি ধাপে। তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল এখনও এমআইসিএস’র প্রোগামের আওতায় থাকায় এসব দেশে নিয়মিত স্বাস্থ্য জরিপ সম্ভব হচ্ছে বলে মত দিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
ভারতের জাতীয় পরিসংখ্যান কমিশনের চেয়ারম্যান প্রণব সেনের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের জনগণের পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্যের সংখ্যা এত কম যে, এ নিয়ে নীতি নির্ধারকরা মুশকিলে আছেন। ভারতের জনগণের অপুষ্টি ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করতে জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য জরিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০০৫-২০০৬ সালে ৩য় দফায় জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য জরিপের পর বর্তমানে চতুর্থ দফার কার্যক্রম চলছে। তবে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কারণে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন নীতি নির্ধারকদের হাতে পৌঁছাতে এ বছরের পেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।