আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: সব ঠিক থাকলে আগামী বছর নাগাদ নিউ ইয়র্কের রাস্তায় নামবে পাঁচ হাজার চালকবিহীন ট্যাক্সিক্যাব। শুরুতে ম্যানহাটান থেকে শুধু ব্রুকলিন এবং কুইন্সে চলবে ‘জিপি’ নামের গুগলের এই ট্যাক্সিক্যাব। নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো এ নিয়ে সোমবার গুগল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তিতে সই করেছেন।
গুগলের চালকবিহীন গাড়ি প্রথম নামানো হয় ২০১০ সালে নাভাদা স্টেটে। এটি রাডারের সহায়তায় চললেও নিউ ইয়র্কের ক্যাবগুলোর গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এসব ট্যাক্সি বিক্রি হবে না, চালাতে হবে লিজ নিয়ে। এগুলোর ভাড়া ইয়েলো ট্যাক্সির চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসব ক্যাব সম্পর্কে মেয়র ব্লাসিয়ো বলেন, বিশ্বে নিউ ইয়র্ক হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম সিটি। তাই এই সিটির পরিবহন ব্যবস্থায়ও এর প্রতিফলন ঘটতে হবে। যদি দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব হয়, তাহলে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়বে। নিউ ইয়র্কে ট্যাক্সি সেবা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ট্যাক্সি অ্যান্ড লিমুজিন কমিশনের (টিএলসি) তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান ট্যাক্সির চেয়ে দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে জিপি।
ইয়েলো ট্যাক্সির মতো দেখতে হলেও জিপির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যাবে। ট্যাক্সিতে একটি বাটন থাকবে- যেটি গুগলের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এই বাটনের মাধ্যমেই মাঝপথে ট্যাক্সি থামানো যাবে। ট্যাক্সিতে ওঠার পরই যাত্রীকে গাড়িতে থাকা স্মার্টফোনে বার্তা দিয়ে গন্তব্যের ব্যাপারে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে ইংরেজি না জানলেও যাত্রীকে বিপাকে পড়তে হবে না। কারণ স্মার্টফোনে ৮০টি ভাষায় বার্তা দেওয়া যাবে। ইলেকট্রিক বায়ো ফুয়েলে চলা প্রতিটি ট্যাক্সিতে এটিএম এবং ফুড ভেন্ডিং মেশিন থাকবে।
তবে চালকবিহীন ট্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামানোর উদ্যোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যাবচালকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সোচ্চার ওসমান চৌধুরী। ক্যাব চালকদের পেটে লাথি দেওয়ার এটি আরেকটি প্রক্রিয়া। এমনিতেই তারা অর্থকষ্টে রয়েছে। এটি চালুর পর তাদের বিকল্প কোনো পেশায় যাওয়ারও সুযোগ থাকবে না। নিউ ইয়র্কে লক্ষাধিক ট্যাক্সিচালকের প্রায় এক চতুর্থাংশ বাংলাদেশি।