বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৫৬

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে জয়ী বিরোধী দল

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে জয়ী বিরোধী দল

/ ১১৮
প্রকাশ কাল: সোমবার, ২৭ মে, ২০১৩

স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে বিতর্কের মাধ্যমে জয়ী হয় বিরোধী দল। বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব করেন প্রাইম ইউনিভার্সিটি। ছায়া সংসদে সরকারি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ। সোমবার বসুন্ধরা সিটিতে বেলা সাড়ে এগারটায় বিতর্কটি শুরু হয়ে শেষ হয় সাড়ে ১২টায়। বিতর্কের শেষ পর্যায়ে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ইস্যুতে না ভোট জয়যুক্ত হয়।

এই বিতর্ক অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার ফারুক হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের চিফ রিপোর্টার নাজমুল আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এস এম আতীকুর রহমান। বিতর্কে স্পিকার হিসেবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইফসুফ হোসেন হুমায়ুন ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন। বিতর্কে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাঁচ জনের টিমে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নেতৃত্ব দেন মো. ফজলে রাব্বী ও প্রাইম ইউনিভার্সিটির নেতৃত্ব দেন মিজানুর রহমান।

বিতর্কে বক্তারা বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রাজনৈতিক অস্থিরতাও। তাই আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্র রক্ষায় সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।

ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, বিরোধী দলীয় নেতাকে বাড়ি থকে বের করে দেওয়াসহ নানা সহিংসতা চালানোর কারণে বিরোধী দল কাজ করতে পারছে না। উচ্চ আদালতের রায়ের কথা বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের কথা বলা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে যে, আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা সম্ভব। কিন্তু সরকার যেহেতু বুঝতে পেরেছে যে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই তখন তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার অপচেষ্ট করছে। এদেশের জনমত গড়ে উঠেছে যে এখন তত্ত্বাবধায় সরকার প্রয়োজন। সংবিধানের জন্য জনগণ নয়, জনগনের জন্য সংবিধান। সুতরাং জনগনের মতামতের ভিত্তিতে আবার সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে।

অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিটি কারো ইচ্ছা অনুযায়ী বাতিল হয়নি। আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটি বাতিল হয়েছে। বিরোধী দলকে বারবার বলা হয়েছে আলোচনার জন্য। কিন্তু তারা আসেনি। এখন এটি পাস হয়ে গেছে। আমরা সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না। আর তাছাড়া ওয়ান ইলেভেনের পরে সংবিধান প্রণেতারা বলেছিলেন যে এ সরকার (তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার) যতোদিন ইচ্ছা থাকতে পারবে। এটি গণতন্ত্রের জন্য আশানুরূপ ছিলো না।  আমরা আশা করছি বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কট সমাধান করা সম্ভব হবে।

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
All rights reserved © shirshobindu.com 2023