গ্যালারী থেকে ডেস্ক: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেওয়ায় আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিলো বাংলাদেশের। সেই আত্মবিশ্বাসের ধারাবাহিকতায় এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিল বাংলাদেশ। শুক্রবার মিরপুরে প্রায় ত্রিশ হাজার দর্শকের সামনে পাকিস্তানকে হারালো খুব সহজেই। আগের সাতবারের মুখোমুখিতে কোনবারই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ।
কিন্তু বলদে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্রটা পুরোপুরি ভিন্ন। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ যেভাবে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে, এবার টি-টোয়েন্টিতেও তার দাপট দেখিয়েছে। শুক্রবারের ম্যাচে পাকিস্তান এক মুহুর্তেও জন্যেও লড়াই করতে পারেনি। কি ব্যাটিং কি বোলিং। দুই বিভাগেই পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ফ্লপ। টসে জিতে কৃত্রিম আলোয় প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করে পাকিস্তান। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ২২ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। ১৪২ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ হাফিজের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১৪ রান।
কিন্তু ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট হতে হয় তৃতীয় ওয়ানডেতে ১২৭ রানের ঝড় তোলা সৌম্যকে। তামিম ইকবাল ওই ওভারে ২টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান। শুরুতে ঝড় তুললেও বেশিদূর এগুতে পারেনি। ১৪ রানে উমর গুলের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তামিম। এরপর মুশফিক ১৫ বলে ১৯ রান তুলে নেন। কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজের করা ষষ্ঠ ওভারে কপাল পুড়ে তার। মুশফিকের ব্যাটে লেগে বল স্ট্যাম্পে আঘাত করলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। দ্রুত উইকেট হারালেও বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সাব্বির ও সাকিব।
এই দুই ব্যাটসম্যান চতুর্থ উইকেটে ১০৫ রান যোগ করেন মাত্র ৬৪ বলে। সাকিবকে কেন টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট বলা হয় তার আরেকটি প্রমাণও মিলল। তরুণ তুর্কী সাব্বিরকে নিয়ে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন সাকিব। এই দুই ব্যাটসম্যান পাকিস্তানের বোলারদের পাড়ার বোলারদের মত পিটিয়েছেন। সাব্বির ৩২ বলে ৫১ রানে এবং সাকিব ৪১ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন।