শরীর স্বাস্থ্য ডেস্ক: চোখ আমাদের শরীরের আলোর উৎস। সময় থাকতে আমরা চোখের সামান্যতম যতœ নেয়ারও প্রয়োজন বোধ করি না।
অথচ, যে কোন ইন্দ্রিয়ের চেয়ে আমরা সবচেয়ে বেশি নির্ভর করি দর্শন বা দেখার ইন্দ্রিয়ের ওপর। যেভাবে চলছে চলুক, সমস্যা হলে দেখা যাবে-
এই মানসিকতা আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। মনে রাখতে হবে, শৈশব থেকেই বিশেষভাবে চোখের যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
সন্তানদের মধ্যে সচেতনতার বীজটি বোনার দায়িত্ব পিতামাতার ওপরই। আমাদের চোখ সুস্থ থাকলে প্রচুর আলো আমাদের দেহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
কিন্তু, চোখের স্বাস্থ্য যখন ভালো থাকে না, তখন শরীরে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করতে পারে না। তাতে বহু পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হয় শরীর।
নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। চোখ ভালো রাখার জন্য প্রকৃতিতে রয়েছে বহু খাদ্য, যার মধ্যে চোখের বহু পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
তার মধ্যে থেকে চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ৫টি অপরিহার্য খাদ্য নিয়ে আলোচনা করা হলো:
গাজর: গাজর বিটা ক্যারোটিন (ভিটামিন এ) উপাদানে সমৃদ্ধ। বিটা ক্যারোটিন অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা চোখের ছানি ও ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন জাতীয় মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে দেয়।
পালং শাক: ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন (চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি পুষ্টি উপাদান) উপাদানের উৎস পালং শাক। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এ পুষ্টি উপাদানসমূহ বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন ও ছানিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
কমলা: লুটিন ও জিয়্যাজ্যানথিনের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস কমলা।
ডিম: ডিমের কুসুম বা হলুদ অংশতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটিন, জিয়্যাজ্যানথিন ও জিংক।
মাছ: যে কোন মাছ বিশেষ করে মলা-ঢেলার মতো ছোট মাছে রয়েছে চোখের জন্য অপরিহার্য বহু পুষ্টি উপাদান। বেশ কয়েকটি বড় ও ছোট মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাট, যা আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তিকে স্বচ্ছ করতে, রেটিনার কাজকে আরও উন্নত করতে এবং চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধে অন্যতম ভূমিকা রাখে।