নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৩ বছর তিলোত্তমা ঢাকার ভোটাররা স্বাদ পেতে যাচ্ছেন নগরপিতা নির্বাচনের। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় শেষ হয়েছে। ভোট আয়োজনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন কেবল ভোটগ্রহণের অপেক্ষা।
এ নিয়ে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক শিবিরেও শুরু হয়েছে হিসেব-নিকেষ। সাধারণ নগরবাসীর মনে ভোটের তেমন উৎসাহ না থাকলেও মেয়র প্রার্থীদের গণসংযোগ আর প্রচারণার নানা ধরণ নিয়েই ছিলো এতোদিনের আলোচনা। কে কেমন নগর গড়বেন সে প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাস্যরসও কম হয়নি। অন্যদিকে রাজনীতির হিসেবে সাধারণ মানুষ এবার প্রার্থীদের তেমন পছন্দ করেনি বললেই চলে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো নির্দলীয় হলেও ভোটাররা রাজনীতিকীকরণেই অভ্যস্ত। যে কারণে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ভারি প্রার্থি না থাকায় নির্বাচনে তেমন উৎসাহও বোধ করছেন না নগরবাসী। তবে সবকিছুর উপরে তাদের আকাঙ্খা একটাই-নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে শাসন হোক মহানগরী ঢাকা।
তাই নির্বাচনে উৎসাহ কম হলেও আগ্রহের কোনো কমতি নেই। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ডিসিসি নির্বাচন। এদিকে ঢাকাতে তেমন উৎসাহ না থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে সাধারণের উৎসাহ উদ্দীপনা দুটোই রয়েছে।
তবে সেখানেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নিয়ে অনেকটা নিবর দ্বন্দ্ব যেন রয়েই গেছে। এছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর ব্যর্থতা নিয়েও নগরবাসী মনে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। সব মিলিয়ে চসিক নির্বাচনও শেষ মূহুর্তে জমে উঠেছে। রোবারবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে প্রচারণা।
প্রার্থীদের এখন গণসংযোগের কোনো সুযোগ নেই। অনলাইন বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমসহ কোনো মাধ্যমেই তারা আর প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এখন কেবল ভোটযুদ্ধের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।