মোহাম্মদ আবুল হোসেন: সকাল ১০টা। মগবাজারের মধুবাগে এএইচইউ মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারের তেমন ভিড় নেই। মধুবাগে পুরুষদের জন্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ওই মাদ্রাসা। নারীদের জন্য শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়। ভোটাররা পড়েছেন নানা দুর্ভোগে। ভোটার নম্বর জানেন না প্রায় সব ভোটার।
তাই ভোটার নাম্বার দেয়ার সেন্টারে, যা পরিচালিত হচ্ছে ঘুড়ি মার্কার প্রতীকের প্রার্থী তৈমুর রেজা খোকনের পক্ষ থেকে, সেখানেই সবচেয়ে বড় জটলা। ভোটাররা নিজেদের ভোটার নাম্বার জানতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তাদেরকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দায়িত্বরত দু’জন পুরুষ ও দু’জন নারী। ভোটাররা তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে ভোটার নাম্বার নিতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোটার সিপ দেয়ার কোন সেন্টার বসেনি। পুরো নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন করে এমন চিত্রই মিলেছে। নেই কোন প্রতিপক্ষের ভোটার সিøপ দেয়ার কেন্দ্র বা তাদের উপস্থিতি।
শোনা গেছে তাদেরকে হুমকি দেয়া হয়েছে। ফলে একচেটিয়া আধিপত্য দেখা যাচ্ছে একপক্ষের। ১০টা ১০ মিনিট। মধুবাগের ভোটারদের জন্য নির্দারিত বুথ নম্বর ৫। সেখানে ঢুকে দেখা গেল তিন প্রার্থীর মাত্র তিনজন এজেন্ট। একজন মেয়র প্রার্থী আনিসুল হকের, একজন মেয়র প্রার্থী জোনায়েদ সাকির ও আরেকজন কাউন্সিলর প্রার্থী তৈমুর রেজা খোকনের।
তাদেরই একজন বললেন, এই ভোট সেন্টারে খোঁজ নিয়ে দেখুন সব বুথেরই এক অবস্থা। অন্য কোন প্রার্থী এজেন্ট দেয় নি। তারা ভয় পায়। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের বক্তব্য নেয়ার মতো কাউকে পাওয়া যায় নি। তবে দায়িত্বরত অফিসার এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
ওদিকে সকাল পৌনে ১০টার দিকে মাদ্রাসা কেন্দ্রের বাইরে র্যাবের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু ১০টা নাগাদ তারা স্থান ত্যাগ করেন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি। দৃশ্যত এখন পর্যন্ত ভোট শান্তিপূর্ণ।