নিউজ ডেস্ক: জন্মই হয়েছে তার গ্লামার নিয়ে। তার নাম রাখার আগেই নামের আগে যোগ হয়েছে রাজকন্যা খেতাব। এমন সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে খুব কম মানুষই জন্ম নেন। বলছি, ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট মিডলটন ও ডিউক প্রিন্স উইলিয়ামের কন্যা সন্তানের কথা। তাদের কন্যা যে সৌভাগ্য নিয়ে জন্মেছে এমন সৌভাগ্য হয়েছিল এখন থেকে ৬৫ বছর আগে আরেক রাজকন্যার। তিনি প্রিন্সেস রয়েল অ্যানি।
ওদিকে নতুন কন্যা সন্তানকে নিয়ে বৃটিশ রাজপরিবারে চলছে আনন্দের বন্যা। প্রজারাও কম যান না। মিডিয়াতো এ নিয়ে রিপোর্টে সয়লাব। জন্ম নেয়ার ১০ ঘণ্টার মাথায় শনিবার রাতে ওই রাজকন্যাকে নিয়ে ঘরে ফিরেছেন প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন। তাকে দেখতে কেনসিংটন রাজপ্রাসাদে ছুটে গেছেন দাদা প্রিন্স চার্লস, দাদী ক্যামিলা, খালা পিপা, নানী ক্যারোল মিডলটন।
তবে এই আনন্দ উৎসবে নেই রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি রয়েছেন নরফোকে স্যান্ড্রিংহামে। মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। ফলে ক্ষমতাসীন রানীর সাক্ষাৎ পেতে এই নবজাতক রাজকন্যাকে অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কতগুলো ঘণ্টা। গতকাল এই রাজকন্যাকে কোলে নিয়ে কেট মিডলটন ও প্রিন্স উইলিয়াম বেরিয়ে আসেন কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে। উপস্থিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ সময় তারা হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দেন। মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তাদের রাজকন্যার ছবি।
এর আগে এমন ভাগ্য নিয়ে ১৯৫০ সালে জন্মেছিলেন প্রিন্সেস অ্যানি। তার গ্লামার, তার পরা পোশাকের দিকে সবার নজর। কিন্তু তাকেও ছাড়িয়ে যাবেন নতুন এই রাজকন্যা। তার প্রতিটি মুভমেন্ট, পোশাক, তার চুলের স্টাইল অবশ্যই নজরে থাকবে স্টাইলিস্টদের। গবেষণা হবে তা নিয়ে।
এরপর তার অনুকরণ হবে বিশ্বজুড়ে। একবিংশ শতাব্দীর এই রাজকন্যার বিষয়ে এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এক বছরের মধ্যে এই রাজকন্যা ১৫ কোটি পাউন্ডের মালিক হয়ে যাবেন। তা হবে শুধু ফ্যাশন ও সৌন্দর্য্যবিষয়ক শিল্প থেকে। ফলে তার বয়স ১০ বছর পূর্ণ হতেই সে হয়ে যাবে ১০০ কোটি পাউন্ডের মালিক। রাজপরিবারের লেখক ও প্রিন্স উইলিয়াম, হ্যারির জীবনীকার পেনি জুনোর বলেন, রাজপরিবারে একটি কন্যা সন্তান আসায় পুরুষের প্রাধান্য থাকা রাজপরিবারে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে। সে রাজপরিবারে পূর্ণাঙ্গ একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। তার মাঝে থাকবে প্রচণ্ডরকম গ্লামার।