সিলেট চেম্বারের কয়েকজন পরিচালকের করা সকল অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন চেম্বার সভাপতি ফারুক আহমদ মিছবাহ। তিনি বলেছেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমেই তা মিথ্যা প্রমাণিত হবে। বুধবার একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি সকল অভিযোগের বর্ণনা দেন।
মিছবাহ অডিট রিপোর্টের বিষয়ে অভিযোগটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে বলেন, সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর গত ৩১ ডিসেম্বর সাধারণ সভার মাধ্যমে ২০০৮-০৯ এর সাধারণ সভায় অডিট রিপোর্ট বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি গোপন রাখার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন এবং এটি গোপন রাখার কোন সুযোগও নেই।
পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সংঘবিধি সংশোধন করে রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানী বরাবর পেশ করে অনুমোদন করা হয় এবং এটির কপি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সুতরাং এ সংক্রান্ত অভিযোগটি ভিত্তিহীন।
পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক জরিমানার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে জায়গায় জমি নিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে তার কোন জমি বা আবাসন প্রকল্পই নেই। সুতরাং সেখানে জরিমানার কোন প্রশ্নই আসে না। ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা জরিমানার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণই বানোয়াট।
সভার কার্য বিবরনী বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি সভার কার্য বিবরণী সভায় পাশ হয় এবং পরিচালনা পর্ষদই তা অনুমোদন করে। তাই এখানে সভাপতির ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোন সুযোগ নেই। সুতরাং এ বিষয়ের অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তোরন নির্মান প্রসঙ্গে অভিয়োগের বিষয়ে মিছবাহ বলেন, চেম্বারের সংঘ স্মারক এবং বিধান অনুযায়ী সভাপতি সকল কার্যক্রমে নাম ব্যবহার করবেন এটাই নিয়ম। সুতরাং এ বিষয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ এটির খরচ বোর্ড সভায় অনুমোদিত হয়। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
এফবিসিসিআইতে প্রতিনিধি প্রেরণে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে মিছবাহ বলেন, এ ব্যাপারে তার অনুপস্থিতিতেই আর্বিট্রেশন বোর্ড সিলেট চেম্বারের প্রেরিত তালিকাকে সঠিক বলে রায় দিয়েছে। সুতরাং এ সংক্রান্ত অভিযোগটিও ভিত্তিহীন।
ফারুক আহমদ মিছবাহ এ অভিযোগকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে এরকম অসৎ অভিযোগ আনা হবে তা তিনি আগেই আঁচ করতে পেরেছেন। তবে এসব ষড়যন্ত্র ব্যবসায়ীরা মেনে নেবে না। তিনি চেম্বারের সার্বিক সমৃদ্ধিতে সকলকে মত-পার্থক্য ভুলে কাজ করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, সহ সভাপতি শাহ আলম, পরিচালক হাজী দেলোয়ার হোসেন, এম এ মান্নান ও এম এ সাত্তার। ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি তোরন মিয়া, মহানগর সভাপতি আঃ সালাম, চন্দন সাহা ও আরিফ। বর্তমান পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ লায়েছ উদ্দিন, মামুন কিবরিয়া সুমন, সিরাজুল ইসলাম ও এমদাদ হোসেন। এছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আজিজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত গত ৯ অক্টোবর সিলেট চেম্বারের ৮ জন পরিচালক সভাপতির বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। এ ব্যাপারে পরদিনই ১০ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) অভিযোগগুলো তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
Leave a Reply