চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেশটির আগামী নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। আগামী মার্চ থেকে সিপিসির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বেই নতুন যাত্রা শুরু করবে চীন। এই নেতাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো: শি জিনপিং: সিপিসির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। ১৯৫৩ সালে বেইজিংয়ে জন্ম নেওয়া জিনপিং আগামী মার্চে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাঁর ক্ষমতায় থাকার কথা। জিনপিংয়ের বাবা শি ঝংশান ছিলেন বর্তমান চীনের প্রতিষ্ঠাতা কমিউনিস্ট বিপ্লবী মাও সে-তুংয়ের সহবিপ্লবী। লি কেকিয়াং : সিপিসির উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন লি কেকিয়াং। আগামী মার্চে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। ১৯৫৫ সালে আনহুই প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন কেকিয়াং। তিনি ২০০৮ সাল থেকে চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ঝাং দেজিয়াং : সিপিসির অন্যতম নেতা বো শিলাইকে গত ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কারের পর দেজিয়াংকে চংকিংয়ের সেক্রেটারি করা হয়। চীনের পুরোনো মিত্র উত্তর কোরিয়ার কিম ইল সং বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন দেজিয়াং। ইউ ঝেংশেং : চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইয়ের দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইউ ঝেংশেং। তিনি হারবিন সামরিক প্রকৌশল ইনস্টিটিউটে ক্ষেপণাস্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ঝেংশেং ‘প্রিন্সেলিং’ নামেও বেশ পরিচিত। ঝাং গাওলি: রাজধানী বেইজিংয়ের তিয়ানজিন অঞ্চলের দলীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ঝাং গাওলি। ফুজিয়ান এলাকায় জন্ম নেওয়া গাওলি চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের আস্থাভাজন ছিলেন। ওয়াং কিসান: ওয়াং কিসান পশ্চিমা নেতাদের কাছে খুব পরিচিত। চীনের অর্থনৈতিক ইস্যুবিষয়ক প্রধান কিসান। তিনি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় চীনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লিউ ইউনসান : ৫৫ বছর বয়সী লিউ ইউনসান রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার সাবেক প্রতিবেদক। ২০০২ সাল থেকে কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারণা শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
Leave a Reply