শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯

কেপিএমজির নিরীক্ষা প্রতিবেদন: এমআরপি প্রকল্পের মান নিয়ে প্রশ্ন

কেপিএমজির নিরীক্ষা প্রতিবেদন: এমআরপি প্রকল্পের মান নিয়ে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করেনি মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইআরআইএস-জেভি। যেটুকু সরবরাহ করা হয়েছে তার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রকল্পের উপর চালানো কেপিএমজি সিঙ্গাপুরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ অবস্থায় নিয়ম অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ না করা হলে বাকি রয়ে যাওয়া অর্থ না পরিশোধ করার হুমকি দিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য মিলেছে।

সূত্রমতে, গত মাসে অধিদপ্তরের কাছে নিরীক্ষা প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, আইআরআইএস জেভি এমআরপি ও এমআরভি প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে যে চুক্তি রয়েছে তার শর্ত পরিপূর্ণ ভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে চুক্তির শর্তগুলো যথাযথভাবে অনুসরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আইআরআইএস জেভি প্রকল্পে ১০০ শতাংশ সফটওয়্যার সরবরাহ করলেও তার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার, সার্ভার, নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ, ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিনসহ অন্যান্য যে যন্ত্রাংশ ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ করেছে। নিরীক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এমনকি ডাটাবেজ নিয়েও একটি জটিলতা রয়েছে। অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, এমআরপি ও এমআরভি প্রকল্প চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

তবে সম্প্রতি তার মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনী এ কাজের দায়িত্বে থাকছে। আর এ সময়ের মধ্যে আইআরআইএস জেভিকে পণ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এ প্রকল্পে নিরীক্ষা সম্পন্ন করতে কেপিএমজি সিঙ্গাপুরের প্রায় তিন মাস সময় লেগেছে। প্রকল্পে প্রতিশ্রুত বিষয়াদি দিলেই এ প্রকল্প শেষ হবে। আর প্রকল্প পরিপূর্ণ ভাবে শেষ হলেই আইআরআইএস তার প্রতিশ্রুত অর্থ পাবে।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ২০১০ সালের একনেক সভায় ২৮৩ কোটি টাকার এমআরপি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পের আওতায় দেশের ভেতরে এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের অনুমোদিত স্থানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ভিসা ইস্যু করার জন্য মেশিনারিজ স্থাপন, জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, পাসপোর্ট বুকলেট কেনা, মেশিন রিডেবল স্টিকার ক্রয় এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সৃষ্টি হয়। এমআরপি ও এমআরভি তৈরির জন্য ডাকা দরপত্রে ৩২টি প্রতিষ্ঠান শিডিউল কিনলেও আটটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়।

সর্বনিম্ন দরদাতা মালয়েশিয়ার আইআরআইএস করপোরেশনকে কাজ দেয়ার সুপারিশ করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। কর্মকর্তারা জানান, এমআরপি প্রকল্প বাস্তবায়নে আইআরআইএসকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত সত্য যাচাই-বাছাই করা। বাংলাদেশ যেহেতু এর আগে এ ধরনের কোন প্রকল্প হাতে নেয়নি। ফলে সবকিছু ঠিক আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য প্রকল্পের প্রথম ধাপে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে।

তার ফলেই আইআরআইএস’কে নিরীক্ষা সম্পন্ন করতে অনুরোধ করা হয়। যদিও এটি বিদ্যমান চুক্তির আওতায় ছিল না। তারা রাজি হওয়ায় আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা সংস্থা কেপিএমজি সিঙ্গাপুরকে দিয়ে এ নিরীক্ষা চালানো হয়েছে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024