নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশগুপ্ত। দীর্ঘদিন থেকে সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দায়িত্বে থাকার পর একের পর এক সমালোচনার তীক্ষবাণ বিদ্ধ হচ্ছে তার দিকে। জেলার সাংস্কৃতিক অফিসারের দায়িত্বে থেকে ছোটখাট অসংখ্য ঘটনার জন্ম দিলেও এবার নিজের কর্মকান্ডের জন্য কঠোরভাবে সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ সিলেট সাংস্কৃতিক জোট ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদকে একজন নৃত্য শিল্পির অভিভাবক সুমন দে লিখিত অভিযোগ করলে ইতিমধ্যে ঘটনাটি সিলেটের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গণে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
এদিকে, জেলা কালচারাল অফিসারের অনৈতিক ব্যবহার ও অসদাচরণ সম্পর্কে অভিযোগ প্রাপ্তির ভিত্তিতে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেট ১৭ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যায় অভিযোগকারীদের সাথে সিলেটে একটি অভিজাত রেস্তুরায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন
এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র সঙ্গীত প্রশিক্ষক হিমাংশু বিশ্বাস, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক নিরঞ্জন দে জাদু, সভাপতি অনুপ কুমার দেব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেটের সাংস্কৃতিক ও নাট্যাঙ্গণের ব্যক্তিত্ব বিভাষ শ্যাম পুরকায়স্থ যাদন, মিশফাক আহমেদ চৌধুরী মিশু, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বাবু, সৈয়দ মনির হেলাল, শিল্পকলা একাডেমীর এডহক কমিটির গৌতম চক্রবর্তী।
পরবর্তিতে এডহক কমিটির উদ্যোগে কয়েক দফা সাংস্কৃতিক জোট ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদকে নিয়ে বৈঠক করা হয়। বিগত ১৩ মে ২০১৫ তারিখে, এডহক কমিটির ফর্মাল মিটিং হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষক বৃন্দ, সাংস্কৃতিক জোট ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সহ সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেন্য ব্যক্তিত্বগণকে নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পদাধিকার বলে এডহক কমিটির সিলেট (এডিএম) এডিশন্যাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্টেট এ জেড এম নুরুল হক, অধ্যক্ষ আবুলফতে ফাত্তা, গণসংগীত শিল্পি গৌতম চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
এডহক কমিটির সভাপতির (জেলা প্রশাসক) প্রতিনিধিত্ব করেন সিলেট (এডিএম) এডিশন্যাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্টেট এ জেড এম নুরুল হক । সভায় সিদ্ধান্ত লিখিত ভাবে এডহক কমিটির আমলে নেয়া হয় এবং জেলা কালচারাল অফিসার কি কি নিয়ম অনুসরন করে চলবেন সেটা রেজুলেশন আকারে এডহক কমিটি লিপিদ্ধ করেন। জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরন দাশগুপ্ত ১৩ই মে সেই সভায় উপস্থিত থাকেন এবং সভার সকল উপস্থিত ব্যক্তিগণের বক্তব্যে দোষারূপ করা হয়।
সভায় আলোচনার প্রেক্ষিতে উঠে আসে জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরন দাশগুপ্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বাইরে রাস্তায় জেলা কালচারাল অফিসারের কার্যালয় সাইন বোর্ড লাগিয়ে রেখেছেন, যা সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ নিয়ম বর্হিবুত সেটা অপসারণ করার জন্য সিলেট (এডিএম) এডিশন্যাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিষ্টেট মৌখিক ভাবে বল্লেও আজ দুপুর পর্যন্ত তা অপসারণ করা হয়নি। কালচারাল অফিসার অসিত বরন দাশগুপ্ত’র বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ প্রমানীত হওয়ার পরও কোন প্রকার পরিবর্তন প্রতিয়মান হচ্ছেনা বলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী সিলেট’র অভিভাবকদের মনে আরো সঙ্কা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এডহক কমিটি পরবর্তিতে ৭দিনের মধ্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে অভিভাবক সহ সকল প্রশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখ হতে ঘটনার নিস্পত্তি করার উদ্যোগ নিলে তা আজও হয়ে উঠেনি। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবুলফতে ফাত্তার সাথে গতকাল ২০ মে যোগাযোগ করলে তিনি রাজধানীতে অবস্থান করছেন বলে জানাযায়।