স্বদেশ জুড়ে ডেস্ক: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তন করুন। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রবর্তন করুন। দুই দল এক হন। অনেক বড় জোট করুন। আমার বিরুদ্ধে একটা নির্বাচন করুন। আমি সে নির্বাচনে জয়ী হব। আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে নোয়াখালী জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, শাসনকার্য পরিচালনায় সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। তাই সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব দলের সম্মিলিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টি এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই বিজয়ী হবে।
এরশাদ বলেন, এদেশে প্রেসিডেন্ট শাসিত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারপর ধারাবাহিকভাবে জিয়াউর রহমান এবং আমি প্রেসিডেন্ট শাসিত ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা করেছি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শাসিত শাসনামলেই এদেশে সবচেয়ে বেশী উন্নয়ন হয়েছে। আমার আমলে ৩৭৪ দিন হরতাল হয়েছে- কিন্তু উন্নয়ন ব্যাহত হয়নি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সংলাপ এখন আর নেই। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচন করার জন্য বিরোধী দল বিএনপি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। আর ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে, যে অবস্থা আছে জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য সে অবস্থায়ই নির্বাচন করতে। তা হলে এখন সংলাপ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করা কঠিন হবে।’ এরশাদ আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলে তিনি দেশে আটটি প্রদেশ করবেন। উপজেলাকে শক্তিশালী করে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করবেন।
বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সমন্বয় কমিটি আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক রিন্টু আনোয়ার। সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু এবং সংবর্ধিত নেতা ড. ক্যাপ্টেন রেজাউল করিম চৌধূরী। সভা পরিচালনা করেন- সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মোবারক হোসেন আজাদ। সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এসএম ফয়সাল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ প্রমুখ ।
Leave a Reply