শরীর স্বাস্থ্য ডেস্ক: সুস্থ দেহেই সুস্থ মনের বাস। একইভাবে সুস্থ মনেই বাস করে সুস্থ দেহ। সম্পর্কটা পারস্পরিক ও ওতপ্রোত। সুস্বাস্থ্য মানে শুধু সুঠাম-সবল দেহলাভ নয়। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখাও অপরিহার্য। মানসিকভাবে স্থিতিশীল ও দৃঢ় থেকে আপনি কোন অসাধ্য কাজও সফলভাবে করার যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন করেন। কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করে প্রকৃত অর্থেই আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন।
সক্রিয় থাকুন: মস্তিষ্ককে সবসময় সুচর্চার মধ্যে ব্যস্ত রাখুন। আপনার মন ক্লান্ত হলেও, মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয় না। একনাগাড়ে কয়েকদিন মস্তিষ্কের বহু কাজ করলেও, আপনার মস্তিষ্ক থাকে সজীব ও সতেজ। কিন্তু, পরিশ্রান্ত হয় আপনার শরীর।
ফলে রাতে ৭-৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। পাজল জাতীয় খেলা, ক্রসওয়ার্ড বা শব্দ সাজানোর ধাঁধা সমাধান, এলোমেলো কয়েকটি অক্ষর দিয়ে বেশ কয়েকটি শব্দ বানানোর খেলা, খবরের কাগজ পড়া আপনার মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এ ধরনের অভ্যাসগুলো আপনার স্মৃতিশক্তিকে প্রখর রাখবে। একই সঙ্গে আপনার শেখার দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলবে।
ব্যায়াম: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যোগাসন ও শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। সপ্তাহে ২ দিন বাদ দিয়ে বাকি ৫ দিন অন্তত আধ-ঘণ্টা নিয়মিত ব্যায়াম আপনার শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। সেই সঙ্গে ভোরে হাঁটুন কিংবা সম্ভব হলে জগিং বা সাইক্লিং করুন। ফুটবল বা এ ধরনের যে কোন একটি খেলাও প্রতিদিন খেলার চর্চা রাখতে পারেন। সর্বাঙ্গের ব্যায়াম বলে পরিচিত সাঁতার। গ্রামে বিষয়টা সহজ হলেও, শহরে সাঁতারের জন্য কোন জলাধার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
যদি সে রকম জায়গা খুঁজে পাওয়া যায়, তবে নিয়মিত সাঁতার কাটুন। তবে একই দিনে সবকিছু করতে যাবেন না। ব্যায়ামগুলো ভাগ করে নিন এবং নিজের শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী করুন। ব্যায়াম প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়ামের একটি চার্ট তৈরি করে নিন। নিয়মিত ব্যায়ামে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে যায়। মানসিক চাপ কমাতে, মস্তিষ্কে সুরক্ষাকারী হরমোন উৎপন্ন করতে সহায়তা করে ব্যায়াম।
নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন: প্রতিদিন নতুন কিছু জানার চেষ্টায় কিছুটা সময় অতিবাহিত করুন। আমাদের মস্তিষ্ক প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্যে অনেকটা রবার বা প্লাস্টিকের মতো। কারণ, মস্তিষ্ককে তথ্য ও জ্ঞানে যতোটা সম্প্রসারিত বা সমৃদ্ধ করা হবে, তা ততোটাই হবে। নতুন নতুন অসংখ্য লিঙ্ক তৈরিতে মস্তিষ্কের ভূমিকা রয়েছে। নতুন কোন কাজ করার বা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন।
এটা আপনার মস্তিষ্ককে আরও বলিষ্ঠ ও বুদ্ধিদীপ্ত করবে। ইতিবাচক ও হাসিখুশি থাকুন এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থেকে প্রাণবন্তভাবে যে কোন কাজ করার অভ্যাস রপ্ত করুন। এতে আপনার শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে এবং এ অভ্যাসগুলোর ফলে আপনি দীর্ঘায়ু লাভ করতে পারেন।