শরীর স্বাস্থ্য ডেস্ক: বলা হয়ে থাকে ৩৫ এর ঊর্ধ্ব হৃদ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। হৃদ রোগ যেমন হার্টএটাক, হার্টফেল, কিংবা স্ট্রোক ৩৫ বছরের বেশি যেকোনো ব্যক্তির হতে পারে, সুতরাং আপনাকে সচেতন থাকতে হবে এসব বিষয়ে। আজ আপনাদের জানাবো Heart Attack কিংবা হৃদরোগের লক্ষণ সমূহ কি কি!
১। ক্লান্তি এবং শ্বাস প্রশ্বাস ধীর হয়ে যাওয়াঃ অনেক সময় অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণ ছাড়াও আপনার শ্বাস প্রশ্বাস ধীর কিংবা আপনি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন, এর অর্থ হচ্ছে আপনার শরীর আপনাকে বলছে বিশ্রাম নাও আমি আর পারছিনা। কিন্তু আপনি যদি এধরণের কোন কারণ ছাড়াই দুর্বল হয়ে যান কিংবা শ্বাস প্রশ্বাস ধীরে নিতে থাকেন তবে অবশ্যই মনে রাখবেন কোন একটা সমস্যা হচ্ছে আপনার শরীরে। এ ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হয়ে যান এবং নিজের শরীরের অবস্থা কি তা একজন ভালো ডাক্তারের কাছে চেকাপ করিয়ে নিন।
২। দিন রাতে শরীরে ঘামঃ আপনি কি দিনে কিংবা রাতে অপ্রয়োজনে অর্থাৎ গরম ছাড়াই ঘামান? যদি এধরণের ঘাম বাহির হয় তবে আর দেরি করবেন না বয়স্কদের জন্য এটা অবশ্যই ভালো লক্ষণ নয়। আপনার হৃদপিণ্ড অনেক দুর্বল হয়ে গেছে ফলে এটি শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করতে পারছেনা ফলে আপনি এভাবে ঘামাচ্ছেন। এসময় অবশ্যই শরীলের তাপ কমানর চেষ্টা করুন হাত পাখা কিংবা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে এমন কোন ছায়া যুক্ত স্থানে বসে বিশ্রাম করুন।
৩। পেটে সমস্যা কিংবা বমি ভাবঃ অনেক সময় হৃদ রোগের আগে পেটে সমস্যা দেখা দেয়, এসময় পেটে গ্যাস সহ পেটে ব্যথা একই সাথে বমি হওয়া কিংবা বমি ভাব দেখা দেয়। এধরণের সমস্যা দেখা দিলেও দ্রুত ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।
৪। বুকে ব্যথাঃ আপনার বুকের ব্যথা যদি অতিরিক্ত হয় কিংবা হঠাৎ বুক শক্ত হয়ে গিয়ে টনটনিয়ে ব্যথা অনুভূত হয় তবে অবশ্যই একে হেলা ফেলা করবেন না। মনে রাখবেন বেশির ভাব হৃদরোগ বুকে ব্যথা দিয়েই হয়ে থাকে।
৫। শরীরের অন্যান্য স্থানে ব্যথাঃ বুক ছাড়াও হৃদ রোগের আগে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভূত হতে পারে যেমন, তলপেটের উপরে, কাঁধে, ঘাড়ে, দাঁতের গোরায়।
উপরের এই ৫ ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন আপনার সচেতনতাই পারে আপনাকে সুস্থ সবল ও নিরাপদ রাখতে।