শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ের নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিক্যাল সায়েন্সেস (নেগ্রিমস) থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। গত ২০শে মে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। নেগ্রিমস হাসপাতাল তাকে ছেড়ে দেয়ায়
গতকাল বিকাল থেকে তিনি শিলং সদর পুলিশ স্টেশনে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ভাস্কর বরগাইন জানান, স্থানীয় সময় সাড়ে চারটায় সালাহউদ্দিন আহমেদকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। শারীরিকভাবে হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছে তাকে পুরোপুরি ফিট মনে হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার (সিটি) ভিবাক সিয়াম জানান, চিকিৎসকরা এখন সালাহউদ্দিনকে সুস্থ মনে করছেন। এ কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সালাহউদ্দিনকে এখন শিলংয়ের সদর থানাতে রাখা হবে। আগামীকাল (আজ) তাকে আদালতে তোলা হবে। এর আগে আনুষ্ঠানিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।
নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পর গত ১১ই মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিঙ্ক এলাকায় উদ্ধার হন সালাহউদ্দিন। পুলিশ তাকে প্রথমে মীমহ্যানস নামের মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর শিলংয়ের সিভিল হাসপাতালে সালাহউদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই হাসপাতালের আন্ডার প্রিজনার সেলে (ইউটিপি) তাকে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। সিভিল হাসপাতালে বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তাকে নেগ্রিমসে গত এক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। ওই হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছিল। শিলং পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সিভিল হাসপাতালে সালাহউদ্দিনের সঙ্গে দু’দফায় কথা বলেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। কিন্তু অসুস্থতার কারণে গত ১৫ দিনে গোয়েন্দা সংস্থা বা পুলিশের তরফ থেকে তাকে কোন ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
গতকাল হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার পর সদর পুলিশ স্টেশনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সালাহউদ্দিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন নেগ্রিমস হাসপাতালে তার হার্ট, কিডনি ও প্রোস্টেটের বিভিন্ন পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া চর্মের বিভিন্ন সমস্যারও পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরই সালাহউদ্দিন শারীরিকভাবে ফিট বলে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্ত্রী হাসিনা আহমেদ চাচ্ছেন জামিনের মাধ্যমে স্বামী সালাহউদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে। ওই ভাবেই নিয়োগকৃত আইনজীবীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনজীবীদের সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ও পাসপোর্টসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেয়া হয়েছে। এখন আইনি প্রক্রিয়া কি হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছেন পরিবারের সদস্যরা।