শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৯

আইএসে যোগ দিতে তুরস্ক গিয়েছিল মাইরুনা

আইএসে যোগ দিতে তুরস্ক গিয়েছিল মাইরুনা

দীন ইসলাম: মাইরুনা ফারহিন। ১৯ বছর বয়সী বাংলাদেশী তরুণী। বাবা ডা. শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইসহাক ও মা তিনা ফারজানার সঙ্গে বাস করে রাজধানীর ধানমন্ডিতে। গত ৪ঠা মে বাবা-মাকে না জানিয়ে হঠাৎ করেই তুরস্কের উদ্দেশে টার্কিশ এয়ারলাইনস যোগে ঢাকা ত্যাগ করে এ তরুণী। তুরস্কের পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া বা ইরাকে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতেই তুরস্ক যায় সে। মেয়ের এমন মনোভাব সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা ছিল বাবা-মায়ের। তাই ওই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্য চান তারা।

এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস অতি জরুরি ভিত্তিতে একটি কূটনৈতিক নোট ভারবালের মাধ্যমে বিষয়টি তুরস্ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। সঙ্গে ওই তরুণীর পাসপোর্টের কপি ও একটি ছবি যুক্ত করে দেয়া হয়। তুরস্কের ন্যাশনাল পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট মাইরুনা ফারহিনকে দ্রুত শনাক্ত করে তাকে তুরস্কে প্রবেশের অনুমতি দানে বিরত থাকে। কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকেই ৫ই মে’র ফিরতি ফ্লাইটে তাকে ফেরত পাঠানো হয় ঢাকায়।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনজুরুল করিম খান চৌধুরী এ বিষয়ে মুঠোফোনে মানবজমিনকে জানান, ওই তরুণী হয়তো কোন চরমপন্থি গ্রুপে যোগ দিতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তাকে পরবর্তী ফ্লাইটে ফেরত পাঠিয়েছেন তারা। পরিবারকে না জানিয়ে তুরস্কে আসার কারণেই তার বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তুরস্ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক, সাউথ এশিয়া বিভাগের উপ-মহাপরিচালক ও আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বরাবরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এটা খুবই আতঙ্কের বিষয় যে, ওই তরুণী তুরস্কের প্রতিবেশী কোন দেশের চরমপন্থি সংগঠনের সঙ্গে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশী টিএনএজার তরুণী মাইরুনা ফারহিন (বাংলাদেশী পাসপোর্ট নং- এএফ ৮৮০০০৩৬০) ৪ঠা মে, সোমবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সযোগে ঢাকা থেকে তুরস্কের পথে রওনা দিয়েছে। সে তার পরিবারকে কিছু না জানিয়েই তুরস্কের উদ্দেশে রওনা দেয়। তার পাসপোর্টের কপি ও একটি রঙিন ছবি এর সঙ্গে যোগ করে দেয়া হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট থেকে ওই তরুণীকে আটকের পর পরবর্তী ফ্লাইটে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভাল হয়।

এ বিষয়ে ইস্তাম্বুলে কনসাল জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার নাম ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে দেয়া হয়। ওই তরুণীর পাসপোর্টের কপি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার জন্ম ১৯৯৬ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি। ২০১৩ সালের ২৯শে জুলাই পাসপোর্টটি নিয়েছে। জরুরি যোগাযোগের জায়গায় তরুণীর পিতার নাম লেখা রয়েছে। সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে। ওই নম্বরে বারবার যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024