শরীর স্বাস্থ্য ডেস্ক: যৌন জড়াগ্রস্ত বা যাকে সহজ কথায় বলে যৌনতায় উৎসাহ কমে গেছে, এমন নারীদের জন্য বেশ কয়েকবছর ধরেই বিভিন্ন ধরেনর ‘ভায়াগ্রা’ আবিষ্কার হলেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার তার অনুমোদন দিচ্ছিল না। তবে তবে এবার ‘নারীদের ভায়াগ্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত ওষুধ অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
যে সব নারীরা কম যৌন আকাঙ্ক্ষার কারণে যৌন মিলনের পরিপূর্ণ তৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই ওষুধ। যুক্তরাষ্ট্রের স্প্রাউট ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ‘ফ্লিবানসেরিন’ (Flibanserin) নামের এই ওষুধকেই বলা হচ্ছে ‘নারীদের ভায়াগ্রা’ (Viagra for ladies)।
যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এ ওষুধের পক্ষে ইতিবাচক মতামত দিয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে, এই ওষুধের সম্ভাব্য শক্তিশালী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কে সতর্কবাণী প্রচারের শর্ত জুড়ে দিয়েছে ওষুধ নিয়ন্ত্রণে দেশটির সর্বোচ্চ এই সংস্থা। এ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে কোনো কোনো সেবনকারী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন কিংবা ক্লান্তিতে ভুগতে পারেন বলে মনে করছে তারা।
অবশ্য, ২০১০ সাল থেকে দুই দফায় ফ্লিবানসেরিন নামের ওষুধটি বাজারে ছাড়ার অনুমোদন আটকে দিয়েছিল এফডিএ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই ওষুধের কার্যকারিতাকে সন্তোষজনক বলে অভিহিত করেছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, এই ওষুধ তেমন কার্যকর কিছু নয়। তবে, ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির কিনসলে ইনস্টিটিউটের ডক্টর জুলিয়া হেইমান বলেন,অন্যদিকে, এই সমস্যায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সামান্য একটু পরিবর্তনও অনেক ভালো সুফল বয়ে আনতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নারী অধিকার গ্রুপ ইভেন দ্য স্কোর এই ওষুধ বাজারে ছাড়ার পক্ষে প্রচার চালিয়ে আসছে। সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে যে, এফডিএ-এর মতো সংস্থাগুলোও পক্ষপাত দুষ্ট বলেই পুরুষদের যৌন জীবনের সমস্যা দূর করতে একাধিক ওষুধ থাকলেও নারীর যৌন সমস্যার সমাধানে এমন কোনো বাজারে পাওয়া যায় না। কিন্তু কোনো কোনো সমালোচকেরা বলছেন, তেমন কার্যকারিতা না থাকলেও এই ওষুধের পক্ষে এমন সংগঠনের সমর্থন আসলে সন্দেহজনক।
মেনোপজ পূর্ব অবস্থায় থাকা নারীদের লক্ষ্য করে এই ওষুধ বানানো হয়েছে। নির্মাতারা বলছেন, এমনিতে যৌন আকাঙ্ক্ষা বোধ করেন না এমন নারীরাও এই ওষুধে সন্তোষজনক যৌন জীবন পেতে পারেন। তবে, এই ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শপত্র নিতে হবে।