স্বদেশ জুড়ে: বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সরঞ্জামাদিতে প্রথমবারের মতো যোগ হলো অত্যাধুনিক ‘ডর্নিয়ার’ ২২৮ এনাজি মেরিটাইম পেট্রোল উড়োজাহাজ। জার্মানির তৈরি ডর্নিয়ারের মতো আরেকটি টহল উড়োজাহাজ চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নৌ-বাহিনীতে যুক্ত হবে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটির বঙ্গবন্ধু টারমার্কে উড়োজাহাজটি গ্রহণ করেন নৌ-বাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব।
জানা যায়, এই টহল উড়োজাহাজটি যে কোনো দুর্ঘটনা কবলিত স্থান খুব অল্প সময়ে শনাক্ত করতে সক্ষম। নজরদারির জন্য বিশেষভাবে ব্যবহৃত ডর্নিয়ার একটানা ১০ ঘন্টা আকাশে বিচরণ করে ২ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করতে পারে। এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) স্বীকৃত বাংলাদেশের অনুসন্ধান ও উদ্ধার এলাকায় (সার্চ এন্ড রেসকিউ জোন) দেশের বিশেষ সক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হলো।
জানা যায়, প্রতিবেশী ভারত, মায়ানমার ও পাকিস্তানের নৌ-বাহিনী আরো আগে থেকেই এ ধরনের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে। নৌ-বাহিনীতে অত্যাধুনিক এই টহল উড়োজাহাজ সংযোজনের ফলে ইটলস’র ঐতিহাসিক রায়ে অর্জিত নতুন সমুদ্রসীমার ২০০ নটিক্যাল মাইল নিবিড় অর্থনৈতিক এলাকাসহ বর্ধিত মহিসোপান এলাকায় আরো নজরদারি বাড়াতে ও সমুদ্রসীমায় বিশেষ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। বর্তমানে গভীর সমুদ্র এলাকায় যুদ্ধজাহাজের মাধ্যমে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে পুরো সমুদ্র সীমানা প্রদক্ষিণের জন্য একটি যুদ্ধজাহাজের যে সময়ের প্রয়োজন হয় তার থেকে অল্প সময়ে এ উড়োজাহাজ দিয়ে টহল কাজ পরিচালনা করা সম্ভব। বতর্মানে গভীর সমুদ্র এলাকায় নজরদারিতে নৌ-বাহিনীর তিনটি উড়োজাহাজ রয়েছে।
উড়োজাহাজটি সম্পর্কে নৌ-বাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, “ডর্নিয়ার ২২৮ নামক এই টহল উড়োজাহাজ সমূদ্র এলাকায় সার্বিক নজরদারি ও উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন বয়ে নিয়ে আসবে। নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমূদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান রোধ, গভীর সমূদ্র এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বরাদ্দ করা ব্লকগুলোর ওপর অধিকতর নজরদারি প্রতিষ্ঠাসহ মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই উড়োজাহাজ।
Leave a Reply