বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বৃহস্পতিবার এক জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় হয়, মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ নতুন করে কোনো সম্পদ ক্রয় বা বিক্রয় করতে পারবে না। উভয় এক্সচেঞ্জের কাছে বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ডিএসই ও সিএসই অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। ফলে, এ প্রতিষ্ঠানের কোনো মুনাফা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা যায় না। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি যে মুনাফা করে তার একটি অংশ দিয়ে দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করা হয়। অবিশষ্ট অর্থ ব্যাংকে জমা থাকে। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মেয়াদী ও চলতি হিসাবে ডিএসই’র প্রায় এক হাজার কোটি টাকা জমা আছে।
জানা যায়, বিএসইসি’র এ সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ যে ৪শ কোটি টাকার জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা আপাতত কিনতে পারবে না। আরো জানা গেছে, ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হওয়ার আগেই ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এ জমি কিনতে চেয়েছিল। ইতোমধ্যে, তারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা ও উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে দুটি জমি পচ্ছন্দ করেছে। এরই প্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
Leave a Reply