আগামী ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের সংশোধিত সম্পূরক বাজেটও উপস্থাপন করা হয়েছে। সংশোধিত সম্পূরক বাজেটের পরিমাণ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে মূল বাজেটের চেয়ে ব্যয় কম দেখানো হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। মোট ব্যয় কমার পাশপাশি বাজেট ঘাটতিও কমেছে। বাজেট ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার ৬৮ কোটি টাকা টাকা। এটা কমে ৪৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে মোট ও খাতওয়ারি রাজস্ব আদায়ের প্রতিটি খাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে, মোট ব্যয় কমলেও সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব (অনুন্নয়ন) খাতে ব্যয় বেড়েছে। মূল বাজেটে এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৯ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৮৯২ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) কাটছাট করা হয়েছে। এডিপিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এটা কাটছাট করে করা হয়েছে ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে নেয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ প্রায় ৫ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বেড়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ ১ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। সংশোধিত এর পরিমাণ বেড়ে ১ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বৈদেশিক অনুদান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। এর বিপরীতে পাওয়া গেছে ৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
Leave a Reply