শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে টেলিফোন ও ইন্টারনেটে জনগণের ওপর সরকারের নজরদারির গোপন তথ্য ফাঁস করে দেয়া সাবেক সিআইএ কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেনের কোনা খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ হওয়ার আগে হংকংএর একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন স্নোডেন। হংকংয়ে অবস্থানরত স্নোডেন সোমবার হোটেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ফেরেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি এখনো হংকংয়েই আছেন। হঠাৎ নিখোজ হওয়ার ঘটনাকে সহজে মেনে নিতে পারছেন কেউ। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে কীভাবে টেলিফোনে সাধারণ জনগণের ব্যক্তিগত কথোপকথন রেকর্ড করছে এবং ইন্টারনেটে তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে তা যুক্তরাজ্যের দৈনিক গার্ডিয়ানের কাছে ফাঁস করে দেন স্নোডেন। গত সপ্তাহে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক হৈ চৈ শুরু হয়। এর পরপরই স্নোডেন দারুন চিন্তিত হয়ে পড়েন যে, তথ্য ফাঁসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে ধরে শাস্তি দেয়ার চেষ্টা করবে। এই আশঙ্কা নিয়ে উদ্ধিগ্ন দিনাতিপাত করছিলেন ২৯ বছর বয়সী এই তরুণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাবেক আইন উপদেষ্টা স্টুয়ার্ট বাকের বলেছেন স্নোডন যা করেছেন, সেজন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে। হংকংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকায় আটক হলে স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে না বলেই কর্মকর্তাদের ধারণা।
এদিকে গার্ডিয়ান স্নোডেনকে তুলনা করেছে ব্রাডলি ম্যানিং এর সঙ্গে । উইকিলিকসে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন নথি ম্যানিংই ওই ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের হাতে তুলে দেন বলে অভিযোগ আছে। এ অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আদালতে তার বিচারও চলছে।
Leave a Reply