শীর্ষবিন্দু নিউজ: লন্ডনে বাঙ্গালীদের অবস্থান শুধু টাওয়ার হ্যমলেটসই নয়। তবে বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকা বলে খ্যাতি রয়েছে। আর এই এলাকায় বাঙালী কমিউনিটির প্রাণকেন্দ্র হোয়াইটচ্যাপল রোডে অবস্থিত রয়েল লন্ডন হাসপাতালের পুরনো ভবনেই আসছে টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন টাউন হল।
নতুন টাউন হল নির্মাণের লক্ষ্যে বারার কয়েকটি সাইট পরিদর্শন এবং হিসাব নিকাষ করে সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের আমলে কেনা রয়েল লন্ডন হাসপাতালের পুরনো ভবনেই টাউন হল স্থানান্তরের পক্ষে প্রস্তাব দিয়েছেন কাউন্সিলের অফিসাররা। ৩রা নভেম্বর ক্যাবিনেট সদস্যরা অফিসারদের প্রস্তাব অনুমোদ দিয়ে এর সংস্কার কাজের ব্যয় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা যায়।
আরো জানা যায়, পপলারের মালবারি প্লেসে বর্তমান টাউন হল বাবদ বছরে প্রায় ৫ মিলিয়ন পাউন্ড রেন্ট গুনতে হয় কাউন্সিলকে। এককালিন বিশাল অংকের অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কাউন্সিলের নিজন্স টাউন হল হলে বছরের অন্তত ৫ মিলিয়ন পাউন্ড রেন্টগুণা থেকে মুক্তি পাবে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।
পপলারের মালবারি প্লেসে ২০২০ সালের জুন মাসে বর্তমান টাউন হলের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের ভেতরে নতুন টাউন হলে উঠতে হবে কাউন্সিলকে। বেসরকারী ওই ভবনটির সঙ্গে টাউন হলের চুক্তি নবায়ন না করে রয়েল লন্ডন হাসপাতালের পুরনো ভবনে টাউন হল স্থানান্তরের লক্ষ্যে সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান প্রায় ৯ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে পুরনো ওই ভবনটি ক্রয় করেছিলেন।
পরবর্তীতে জন বিগস নতুন মেয়র নির্বাচিত হবার পর টাউন হল হোয়াইট্যাপলে আনার পক্ষেই মত দিয়েছিলেন। তবে তিনি সব সময় বলে আসছিলেন, ৯ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে কেনা রয়েল লন্ডন হাসপাতালের পুরনো ভবনে টাউন হল আসার কারণে যদি কাউন্সিলের অর্থ সঞ্চয় হয় তাহলে তিনি তাই করবেন।
অবশেষে কাউন্সিলের অফিসাররাও তাই করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তবে টাউন হলের উপযোগি করতে রয়েল লন্ডন হাসপাতালের সংস্কার কাজে প্রায় ১শ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। কমার্শিয়াল রোডের পুরনো কাউন্সিল অফিস অর্থাৎ সেভিয়েট হাউস বিক্রি করে সে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।