শীর্ষবিন্দু নিউজ: দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে পদ্মা প্রকল্পে তদন্তে বিশ্ব ব্যাংকের পর্যবেক্ষক প্যানেলের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, বিশ্ব ব্যাংক সন্দেহবশত একজন মন্ত্রীকে পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামি করতে বললেও প্রমাণ না পাওয়ায় কমিশন তা করেনি।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হলো, প্রাথমিক অনুসন্ধানে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ না পাওয়া গেলে শুধু বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে আসামি করা আমি ফেয়ার মনে করি না। বিশ্বব্যাংক খুব হইচই করেছেন মসিউর রহমানসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ লোককে নিয়ে। মামলায় আসামি করতে বলেছিলেন। আসামি করা হয়নি। সৈয়দ আবুল হোসেন একটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান ছিলেন, ওই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। বিশ্ব ব্যাংক বলছে, উনার সম্মতি ছাড়া কিছুই হয়নি- এই সন্দেহে তারা আসামি করতে বলেছে।
দুদক কার্যালয়ে চেয়ারম্যন হিসাবে এটাই ছিল সাংবাদিকদের সঙ্গে গোলাম রহমানের বিদায়ী সাক্ষাৎ। শেষ বেলায় তিনি স্বীকার করেন, আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে গত ৪ বছরে কমিশন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, চার বছর আগে আমি যখন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন বলেছিলাম, দুদক একটা টুথলেস টাইগার। এই চার বছরে পরিস্থিতির খুব অগ্রগতি হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। আইনগত সীমাবদ্ধতা ও বিচারব্যাবস্থার দীর্ঘসূত্রতা দুদকের সাফল্যের পথে অনেক বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি মাসের ২৩ জুন দুদক চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর নেবেন গোলাম রহমান। ২০০৯ সালের ২৩ জুন এই পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
Leave a Reply