বুধবার বাজেট নিয়ে আলোচনায় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শাম্মী হেলাল হাফিজের একটি কবিতার অংশ থেকে পড়তে থাকেন। “গুছাইয়া-গাছাইয়া লন, বেশি দিন পাইবেন না সময়/আলামত যা দেখতাছি মানুষের হইবোই জয়/আমিও গেরামের পোলা…. গাইল দিতে জানি।” এই কবিতাংশ বলে শাম্মী বক্তব্য শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন জানান। অন্যদিকে সরকারি দলের সদস্যরা ‘ছি’ ‘ছি’ বলতে থাকেন। এর আগে শাম্মী আক্তার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় বলেন, “প্রস্তাবিত বাজেট একটি লোপাটের বাজেট। এই বাজেট চাপাতি লীগ, চান্দা লীগ আর ধর্ষক লীগের জন্য।” বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ সদস্য মওদুদ আহমদ এসময় সংসদে ছিলেন। শাম্মী তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, “গলি গলি মে শোর হ্যায়, আওয়ামী লীগ চোর হ্যায়।” ওই সময় একবার তার মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার। তিনি একাধিকবার বলেন, “মাননীয় সদস্য, মাননীয় সদস্য, মাননীয় সদস্য, মাননীয় সদস্য, আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি বাজেটের ওপর কথা বলুন।” শাম্মীর বক্তব্যের পর স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, “আপনার বক্তব্যে কিছু অসংসদীয় শব্দ আছে। সেগুলো এক্সপাঞ্জ করা হবে।” অশালীন ভাষা নিয়ে গত সপ্তাহে সংসদ কয়েক দফা উত্তপ্ত হওয়ার পর অসন্তোষ প্রকাশ করে এই সপ্তাহের শুরুতে স্পিকার এক রুলিংয়ে বলেন, অসংসদীয় ভাষা হলে তিনি মাইক বন্ধ করে দেবেন। এর আগে সরকারি দল ও বিরোধী দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যরা অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার না করার বিষয়ে স্পিকারকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দেশের প্রথম নারী স্পিকারের প্রশংসা করে বক্তব্য শুরু করেন এই নারী সংসদ সদস্য। শিরীন শারমিনকে ‘ঝাঁসি কি রানি লক্ষ্মী বাঈ’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “আপনি সৌভাগ্যবান। আপনি ঝাঁসির রানির মতো ভূমিকা রাখবেন।” বক্তব্যের মাঝে স্পিকার শাম্মীকে বাজেটের ওপর কথা বলার আহ্বান জানালে তিনি বলেন, “বলবো মাননীয় স্পিকার। আগে কিছু বলে নেই।” দলীয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধান চেয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাকে ফেরত চাচ্ছি। আমরা মনে করি, ইলিয়াস আলী সরকারের হেফাজতে আছে। তাকে ফিরিয়ে দিন ভাইয়েরা।” বিএনপির এই সংসদ সদস্য শাহবাগ আন্দোলনেরও সমালোচনা করেন। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
Leave a Reply