সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭

বাংলালায়নের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ব্যবহারকারীরা

বাংলালায়নের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ব্যবহারকারীরা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শীর্ষবিন্দু নিউজ: নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কারণে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালায়নের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এর ব্যবহারকারীরা। গত এক সপ্তাহে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই কারিগরি সমস্যার কথা বলে ৫ দিনের ব্যবধানে দুই দফায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে রাখে বাংলালায়ন। ফলে চরম বিপাকে পড়েন বাংলালায়নের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। ফেসবুকের হ্যাশট্যাগ এ গিয়ে দেখা গেছে, বারবার চরম ভোগান্তির মুখে অনেকেই বাংলালায়নের ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কিছু অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলালায়নের সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল।কিন্তু ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিস লি: এর এমডি মাসুদ কবির জানিয়েছেন, তাদের সেবা বন্ধ করে দেওয়ার সাথে আইআইজির কোন সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে জানতে বাংলালায়নের ডিরেক্টর অব অপারেশন আজাহার জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, পুরনো অ্যালিমেন্ট আপডেট করার কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে, আশা করি আগামীতে এমন সমস্যা আর কখনই হবে না।

জানা গেছে, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালায়নের কেন্দ্রীয় সার্ভার ত্রুটির কারণে চলতি মাসের ১৪ এবং ১৯ তারিখ টানা ২৪ ঘণ্টা করে তাদের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে রাখে। সার্ভারে বড় ধরনের এই ত্রুটি হলেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোন ধরনের আগাম তথ্য জানানো হয়নি। সমস্যার ২০ ঘণ্টা পর গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। এর ফলে গ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হন।

দেশজুড়ে ৪ লক্ষাধিক বাংলালায়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। কিন্তু তাদের সেবার মান বাড়েনি; বেড়েছে ভোগান্তি। নামে মাত্র সেবা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে বাড়তি টাকা। বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করা গেছে মাঝে মধ্যেই বাংলালায়নের নেটওয়ার্ক কানেকটেড হতে সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় কানেকটিং দেখিয়ে ফেইল্ড দেখায়। এমন অভিযোগ রয়েছে অনেকের।

বাংলালায়নের কয়েকজন গ্রাহক জানিয়েছেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকা অবস্থায় বাংলালায়ন তাদের কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার ০১১৯৮৯৮৯৮৯৮ ও ০৯৬১১৫৫৬৬৭৭ অকেজো করে রাখে, ফলে এর গ্রাহকরা তাদের নেট ব্যাবহারে সীমাহীন ঝামেলায় পড়ে যায়। তারা অভিযোগ করে জানতে চান, কোন রকম নোটিশ ছাড়াই সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া এবং হটলাইন বন্ধ করে দেওয়ার মত বাটপারি কাজ কেন করলো বাংলালায়ন?

রেহানা রহমান রেনু নামের বাংলালায়নের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, আমরা সবাই প্রয়োজনের জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। বিল বাকি হলে বা প্রতিষ্ঠানটির নতুন কোন অফার এলে একাধিক এসএমএসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু সারা দেশে নেটওয়ার্ক বন্ধ হওয়ার মতো বড় ঘটনা ঘটলেও তারা আগাম কোন এসএমএস করেনি। বাংলালায়নের গ্রাহক সেবা আগের মতো নেই। এমনকি কাস্টমার কেয়ারে কোন তথ্যের জন্য গেলে কলসেন্টারে ফোন করতে বলা হয়। আর কলসেন্টারে ফোন করলে মিনিটের পর মিনিট টাকা খরচ হলেও কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিদের পাওয়া যায় না।

ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হওয়া ছাড়াও ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালায়নের বিরুদ্ধে গ্রাহক প্রতারণার অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমদিকে গ্রাহকদের ভাল সার্ভিস দিলেও গ্রাহক সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে সার্ভিসের মান কমতে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। দুর্বল নেটওয়ার্ক, দক্ষ লোকবলের অভাব, যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে প্রায়ই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের। প্রায়ই নেটওয়ার্ক সমস্যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে তাদের ইন্টারনেট সেবা।

নেটওয়ার্ক সমস্যা, প্যাকেজের গতি কমিয়ে দেয়াসহ নানা কারণে বাংলালায়নের সংযোগ কেনার পর গ্রাহক পড়েন চরম বিড়ম্বনায়। কাস্টমর কেয়ার নম্বরে ফোন করে ঘণ্টার ঘণ্টা পর সমস্যা সমাধানের তাগাদা দেওয়ার পরও সমস্যা সমাধান না হওয়ার বিড়ম্বনা ‌মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয়। এমনকি তাদের নেটওয়ার্কে সমস্যা থাকলে তখন তাদের কাস্টমর কেয়ারের যোগাযোগ নম্বরও বন্ধ করে রাখা হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন অসহায় গ্রাহকরা।

যে সকল গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সার্ভিসের জন্য শুধুমাত্র বাংলালায়নের ওপর নির্ভর করছেন তারাই মূলত সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কারণ প্রায় প্রতিদিনই নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ থাকছে বাংলালায়নের সার্ভিস। আর সে সময় ইন্টারনেট থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছে তাদের। অনেক গ্রাহকই এখন বাধ্য হয়ে আরেকটি ব্যাকআপ ইন্টারনেট সংযোগ রাখছেন তাদের কাছে। অনেকে বাংলালায়ন পরিবর্তন করে অন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে ফিরে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি বাংলালায়ন লোভনীয় একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে মুখ ফিরিয়ে নেয়া গ্রাহকদের ফিরিয়ে আনতে বাংলালায়ন ‘সব মাফ’ নামে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। যেখানে বলা হচ্ছে, বন্ধ থাকা পোষ্টপেইড সংযোগ চালু করলেই আগের সব বিলের সাথে ২য় ও ৩য় মাসের বিলের উপর ২০% ও ৩০% ছাড় দেয়া হবে। এ চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অনেক পুরাতন গ্রাহকই ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু এদের মাঝে অনেকেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাসের বিলের উপর ২০% ও ৩০% ছাড় দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। বরং কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

বাংলালায়নের নিম্নমানের নেটওয়ার্কের কারণে কিছু কিছু এলাকায় বাংলালায়নের সংযোগ কিছুক্ষণ পরপরই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসব এলাকার গ্রাহকরা বাংলালায়ন কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করলে তাদের মডেম আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করতে বলা হয়। মূলত মডেম নতুন করে ইন্সটল করার সাথে এ সমস্যার কোন সম্পর্ক নেই। সবশেষে স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়। আর স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটরদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও এ ব্যাপারে কোন সমাধান দিতে পারেননা এবং তারা পুনরায় কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন।

এছাড়া কিছুদিন পরপরই কোন পূর্বঘোষণা ছাড়াই দু’তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় বাংলালায়নের ইন্টারনেট সার্ভিস। মাঝে মাঝে তা পাঁচ ঘণ্টায় গিয়েও ঠেকে। সার্ভিস বন্ধ থাকার এসময় তাদের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা হয় বন্ধ অথবা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যস্ত পাওয়া যায়। আর সার্ভিস বন্ধ হওয়ার এক বা দু’ঘণ্টা পর তারা গ্রাহকদের মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে তাদের নেটওয়ার্কে সমস্যা থাকার কথা জানায়।

তবে সে ক্ষুদে বার্তাও এমন কৌশলে পাঠানো হয় যে তাদের না অন্য কোন নেটওয়ার্কে সমস্যা যাতে তা গাহকরা সহজে বুঝতে না পারে। বার্তায় বাংলালায়ন কমিউনিকেশন লিমিটিডের বদলে শুধু বিসিএল নেটওয়ার্ক, যা সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল নামের সঙ্গে মিলে যায়। অথচ এখানে শুধু বিসিএল এর পরিবর্তে বাংলালায়ন বললেই গ্রাহকের ব্যাপারটি বুঝতে সুবিধে হত।

ফেয়ার ইউজেস পলিসির কথা দোহাই দিয়েও গ্রাহক হয়রানি করছে বাংলালায়ন। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে দেখানো হয় যে বাংলালায়ন গ্রাহকেরা ইউটিউবে উচ্চগতিতে ভিডিও দেখতে পারবেন, বড় ফাইল মিনিটের মধ্যেই ডাউনলোড হয়ে যাবে। কিন্তু সবই প্রতারণা। রাত দশটার পর বাংলালায়ন গ্রাহকেরা ইউটিউবে ভিডিও দেখতে গেলে অথবা বড় কোন ফাইল ডাউনলোড করতে গেলে তাদের প্যাকেজের গতি এক-চতুর্থাংশে নামিয়ে আনা হয়। অর্থাৎ কোন গ্রাহক যদি ৫১২ কেবিপিএস প্যাকেজ ব্যবহার করেন তাহলে তিনি পান ১২৮ কেবিপিএস স্পিড। কিন্তু বিলের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয় না।

অথচ বাংলালায়নের ওয়েবসাইটে দেয়া ‘ফেয়ার ইউজেস পলিসি’ অনুযায়ী কোন গ্রাহকের প্যাকেজ অনুযায়ী তার গতি অর্ধেক কমানোর কথা বলা হলেও গ্রাহকদের প্যাকেজের গতি এক-চতুর্থাংশে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সম্পর্কে একজন গ্রাহক জানান, তার ৫১২ কেবি কিং প্যাকেজ রয়েছে। তাকে প্রায়ই রাতে ফেয়ার ইউজেস পলিসির কথা বলে গতি কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী তার গতি ২৫৬ কেবি করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে ১৫০ কেবি। এ ব্যাপারে বাংলালায়নের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলেও পরিষ্কার কোন উত্তর মেলেনা বলে জানান তিনি।

বাংলালায়নের বিরুদ্ধে আরও বড় কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কয়েকটি প্রান্তিক হতে চলল কোন দেনা পাওনাই পরিশোধ করে না দেশের দুই ওয়াইম্যাক্স অপারেটর বাংলালায়ন এবং কিউবি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত স্পেকট্রামের জন্যে কোন ফি’ই পরিশোধ করেনি অপারেটর দুটি। সব মিলে নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি অপারেটর দুটির কাছে ৫৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পাবে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলালায়নের কাছে বিটিআরসির পাওনা রয়েছে ৩০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্পেকট্রামের জন্যে বিটিআরসির প্রাপ্য ২২ কোটি ৪৩ টাকা। ২০০৯ সালে ৩৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিয়ে যাত্রা করা বাংলালায়ন গত বছরের শেষ পর্যন্ত কোন স্পেকট্রাম ফি-ই দেয়নি। তাছাড়া লাইসেন্সের শর্ত অনুসারে শুরুর দিকে রেভিনিউ শেয়ার করলেও পরের দিকে তারা আর কোন রেভিনিউ শেয়ার করেনি বিটিআরসি’র সঙ্গে। আর সব মিলে ১৫ শতাংশ লেট ফি হিসেবে বিটিআরসির আরো প্রাপ্য হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

এদিকে টেকনিক্যাল সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলালায়নের হেড অব মার্কেটিং জি.এম. ফারুক বলেন, ব্যবহারকারীরা অতি সাম্প্রতি দুইবার এ ধরনের টেকনিক‌্যাল সমস্যা বা কানেকটেড না হওয়ার সমস্যায় পড়েছেন। মূলত সার্ভারে সমস্যা হওয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। একে আমরা টেকনিক‌্যাল সমস্যা হিসাবে তুলে ধরে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর মোবাইল নাম্বারে এসএমএস করে জানিয়েছিলাম। তবে ইতিমধ্যে আমরা এ সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি।

পরবর্তীতে আবারও এ ধরনের কানেকটেড না হওয়ার সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধান ইতিমধ্যে করা হয়েছে। আশা করি এখন থেকে ব্যবহারকারীরা সমস্যা ছাড়াই বাংলালায়ন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। পরবর্তীতে এ সমস্যা হবে না এ কথা একেবারে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানে আরও কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, দেশে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসেবা দিতে লাইসেন্স পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বাংলালায়ন। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের আইইইই ৮০২ মানদণ্ড অনুযায়ী চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) প্রযুক্তি ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় এটি। ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর লাইসেন্স পাওয়ার পর একই বছরের ২৮ নভেম্বর বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে তারা। ২০১১ সালের ৭ মে এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়।

সূত্র : প্রিয় টেক

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024