মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪

প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন তাদের ভবন নিয়ে আইনী লড়াইয়ে হেরে গেল

প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন তাদের ভবন নিয়ে আইনী লড়াইয়ে হেরে গেল

শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে বাঙ্গালীদের প্রাচীন ক্যাটারার্স সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন সংক্ষেপে বিসিএ তাদের বর্তমান কার্যালয় ভবন নিয়ে মাতাব চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কোম্পানী ফোর জিরো থ্রি হরো রোড লিমিডেটের সাথে অনেক বাক-বিতন্ডার পর কোর্টে হেরে গেল্। ভবনটির মালিকানা নিয়ে এক মামলায় ফোর জিরো থ্রি হরো রোড লিমিডেটের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিসিএ‘র সাবেক চীফ ট্রেজারা মাতাব চৌধুরী জানান, তিনি হচ্ছেন ৯৬ সালে কেনা ভবন সংশ্লিষ্ট ফোর জিরো থ্রি হরো রোড লিমিডেট এর প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে প্রায় ৭শ হাজার পাউন্ড দামের বিসিএ ভবনটি ২০ বছর আগে কেনা হয়। তখন ১শ ৬১ জন ইসি মেম্বার থাকলেও মাত্র ৫০জন এর জন্য অর্থ দেন বলে দাবী করে তিনি জানান, তাদের নিয়ে একটি কোম্পানী করে ভবনটি বিসিএকে নাম মাত্র ভাড়ায় ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বিসিএ কথা না রাখায় এবং সম্মানজনক আচরন না করে মামলার পথ বেছে নেয় বলে দাবী করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ৫০ জনের নামে ক্রয় করা যাবে না বলেই প্রথমে এটা বিসিএ‘র নামে দেয়া হয় এবং ১৯৯৯ সালে কন্ট্রিবিউটরররা মিলে কোম্পানী করলে এটি তাদের নামে ফিরে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে মাতাব চৌধুরী আরো বলেন, ২০০৬ সালে বিসিএ প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ যিনি হারো রোড কোম্পানীরও সেক্রেটারী ছিলেন, তিনি বছরে আড়াই হাজার পাউন্ড ভাড়ায় একটি চুক্তি করেন। যদিও পরে তা পরিশোধ করা হয়নি এবং ২০১৩ সালে তিনি দাবী করেন ভবনটি বিসিএ‘র তাহলে কোনো ভাড়া দেবে। পরে পাশা-মুনিমের নেতৃত্বাধিন কমিটি বকেয়া পরিশোদে ১৫ হাজারের স্থলে ৯ হাজার পাউন্ড দেয় কিন্তু তারা ভাড়ার বদলে মেনটেইন্সে হিসেবে ইনভয়েস করার অনুরোধ করে।

পরে মেনটেইন্সে কেন হয়নি। সেই অভিযোগে অর্থ ফেরত চায়। সেই হিসেবে তারা কোনো সমাধানের পথে না হেটে সরলতার সুযোগ নেয় বলে অভিযোগ করেন মাতাব চৌধুরী। মাতাব চৌধুরী ও এ আর খান আরো বলেন, এর দায় বিসিএ‘র সাধারন মেমবারদের ওপর পড়া উচিত নয়। এটা বর্তমান নেতা এবং এর জন্য দায়ী নেতা ও কিছু সাক্ষী প্রদানকারীর নেয়া উচিত। দুপক্ষের সলিসিটার বিলসহ সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ১শ হাজার পাউন্ড খরচ হবে এবং বছরে মার্কেট রেইটে ভাড়া দিতে আরো ২০/২৫ হাজার পাউন্ড। আইন অনুযায়ী ভাড়া না দিলে পরবর্তী পদেক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান মাতাব চৌধুরী।

এদিকে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার এ ব্যাপারে জানান, তারা কোর্টের রায়কে শ্রদ্ধা করেন। তবে হারো রোডের ভবনটি বিসিএ মেম্বাররা সংগঠনের জন্যই কিনেছিলেন বলেই তিনি বিশ্বাস করতেন।

পাশা খন্দকার দাবী করেন, তারা সমঝোতা চেয়েছিলেন এবং তখন অর্থ প্রদান কারীদের অনেকেই তাদের সাথেও ছিলেন। কিন্তু সমঝোতা হয়নি। কোর্টের রায়ের পর বিসিএ এর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান বিসিএ প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার।

মালিকানা নিয়ে প্রায় ৩ বছর ধরে মামলা চলার পর বিসিএ‘র বিরুদ্ধে মামলায় জিতেছে এই গ্রুপ। মঙ্গলবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে মাতাব চৌধুরী ও তার সহযোগিরা বলেছেন, মামলায় বিসিএ-র দাবী এবং সাক্ষি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। তাদের পক্ষে রায় দেয়ার পাশাপাশি মামলার ব্যয়বাবদ প্রায় ১শ হাজার পাউন্ডর মতো দিতেও নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।

সংবাদ সম্মেলনে ভবনে অর্থ প্রদানকারীদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন বিসিএ বর্তমান কমিটি বিরোধী নেতারা। এর মধ্যে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন হারো রোড কোম্পানীর সেক্রেটারী এ আর খান, ট্রেজারার এখলাসুর রহমান, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের চেয়ার নুরুল ইসলাম মাহবুব, প্রবীন ক্যাটারার্স মানিক মিয়া ও আবদুল শুকুর।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024