বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৬:২১

আইএসের বিস্তার ঘটছে দক্ষিণ এশিয়ায়

আইএসের বিস্তার ঘটছে দক্ষিণ এশিয়ায়

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ায় শাখা প্রশাখার বিস্তার করছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এ কাজে তারা তেহরিকে খেলিফাত ইন পকিস্তানের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে ব্যবহার করছে। তাই ভয়াবহ এই হুমকি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ।

এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি ইসলামিক স্টেটের হুমকির বিষয়ে মঙ্গলবার তিনি নিরাপত্তা পরিষদে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। এতে এ সব কথা বলেছেন বান কি মুন। ইসলামিক স্টেট আইসিস, আইসিল এবং দায়েশ নামেও পরিচিত।

তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসী সংগছন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অনাকাঙ্খিত এক হুমকি। এ বছর এক দেশ থেকে আরেক দেশে বিদেশী সন্ত্রাসীদের চলাচলের বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সতর্ক থাকা পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, আইসিলের নির্দেশনায় এসব সন্ত্রাসী এক দেশ থেকে আরেক দেশে গিয়ে তাদের সংখ্যা বাড়াবে নতুন এই বছরে ও এর পরেও।

ইরাক ও সিরিয়ার বড় একটি অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করে ইসলামিক স্টেট। সাম্প্রতিক সময়ে তারা পশ্চিম ও উত্তর আফ্রিকায়, মধ্যপ্রাচ্যে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের উপস্থিতি ছড়িয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমেই গত ১৮ মাসে তাদের হুমকি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

বান কি মুন বলেন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আইসিল তাদের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেছে। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এসব মানুষই তাদের নাম ব্যবহার করে হামলা চালায়। এ বছর ১৩ই জানুয়ারি আইসিলের গ্রুপ ‘খোরাসান প্রভিন্স’ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে তারা আফগানিস্তানের জালালাবাদে অবস্থিত পাকিস্তান কনসুলেটে হামলার দায় স্বীকার করে।

খোরাসান প্রভিন্স পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। সম্প্রতি তারা যে জটিল প্রক্রিয়ায় হামলা চালিয়েছে, পরিকল্পনা করেছে, সমন্বয় করেছে এবং গোপনীয়তা বজায় রেখেছে তা ভবিষ্যতে আরও জটিল ও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। বান কি মুন তার রিপোর্টে যে বিষয়টি উল্লেখ করেন নি তা হলো করাচিতে ৪০ জন ইসমাইলির ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট।

ওদিকে গত অক্টোবরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ বলেছেন, ইসলামাবাদে অনেক মানুষ আছেন যারা দায়েশের প্রতি তাদের আনুগত্য দেখাতে চান। এটা একটা ভয়ানক প্রবণতা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র কাজি খলিলুল্লাহ বলেন, পাকিস্তানে দায়েশের কোন পদচিহ্নও নেই। এর সঙ্গে সম্পর্কিত কাউকে আমরা সহ্য করবো না। তবে তারা ইসলামিক স্টেটের হুমরি বিষয়ে সচেতন আছেন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে।

বান কি মুন তার রিপোর্টে বলেছেন, ২০১৫ সালের মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৪টি গ্রুপ আইসিলের সঙ্গে তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেছে। ২০১৬ সালে তাদের সংখ্যা ও সদস্য সংখ্যা বাড়বে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বান কি মুন।

লন্ডনে রয়েল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউট অর ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজে রাহিল শরীফ বলেন, আমি মনে করি ভব্যিষত চ্যালেঞ্জ হলো দায়েশ। এটা একটি বড় হুমকির নাম। আল কায়েদা একটি নাম। কিন্তু দায়েশ তার চেয়েও বড় নাম। এর পরের বছর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতিতে দায়েশের উপস্থিতি অস্বীকার করা হয়।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025