শীর্ষবিন্দু নিউজ: প্রধানমন্ত্রী লন্ডন হিলটন অন পার্ক লেইনের হোটেলে আগমন সময় বিকাল সোয়া ৩টা হলেও স্থানীয় সময় বেলা ২টা থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা হোটেলে সামনে এসে জড়ো হয়। এ সময় হোটেলের সামনে স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীরা। পুলিশি ব্যারিকেডে হোটেলের সামনে পাশাপাশি অবস্থান নিয়ে দুপক্ষই উত্তেজনাকর স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো এলাকা। এসময় উভয় গ্রুপের হাতেই ছিল যার যার স্লোগানের পক্ষে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সেন্ট্রাল লন্ডনের হোটেল হিল্টন অন পার্ক লেইনে চলে আসেন। পাঁচ দিনের লন্ডন সফরকালে এ হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি।
স্লোগানরত দুপক্ষের মধ্যেই উত্তেজনার সৃষ্টি হলে নেতাদের হস্তক্ষেপে তা অবশ্য সংঘর্ষের পর্যায়ে যায়নি। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এসে প্রধানমন্ত্রী অন্য প্রবেশ পথ দিয়ে হোটেল কক্ষে প্রবেশ করার কারণে অবশ্য বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়নি তাঁকে। সফর ব্যক্তিগত হলেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে ভিআইপি নিরাপত্তা (ক্লোজ প্রটেকশন)। প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতে বিমানবন্দর থেকেই তাঁর গাড়িতে ছিলেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কয়েকজন সদস্য। হোটেলে ঢোকার পর প্রধানমন্ত্রীকে এখানে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আলহাজ সামসুদ্দিন খান, সহসভাপতি সামসুদ্দিন মাস্টার, হরমুজ আলী, এম এ রহিম, সহসাধারণ সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাব উদ্দিন চঞ্চল, সৈয়দ কাশেম, জামাল খান ও মল্লিক মোসাদ্দিক প্রমুখ। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নিজের কক্ষে চলে যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ২টা ২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৭টা ২০ মিনিট) প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিমানের ফ্লাইট বিজি ০১৫ লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস, তাঁর স্ত্রী মিসেস কায়েস, প্রধানমন্ত্রীর বোন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার ছেলে ববি সিদ্দিকী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরিফ, সহসভাপতি জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক প্রমুখ। বিএনপি-জামায়াত জোটকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ, সহসভাপতি তৈমুছ আলী, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ, জামায়াতের ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply