রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩২

বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট দল

বড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল সিলেট বিভাগীয় ক্রিকেট দল

ইয়াহইয়া ফজল: অল্পের জন্য বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে গেল জাতীয় ক্রিকেট লিগের সিলেট বিভাগীয় দলের
সদস্যরা। রংপুর থেকে ফেরার পথে ভৈরব সেতুতে ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসটি নদীতে পড়ার
উপক্রম হয়েছিলো। চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললেও সেটি সেতুর গার্ডারে আটকে যাওয়ায় গোটা
টিম ভয়াবহ পরিণতি থেকে বেঁচে যায়। ঢাকা থেকে ৮৩ কিলোমিটার দূরে সংঘটিত ওই ঘটনায়
ক্রিকেটার ও দলের কোচিং স্টাফের কেউই গুরুতর আঘাত পাননি বলে জানা গেছে। সিলেট বিভাগীয়
দলের কোচ এইচ.এম মাহমুদ ইমন শীর্ষবিন্দুর কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তবে জাতীয় লিগের সর্বশেষ ম্যাচ খেলে রংপুর থেকে রওয়ানা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এই
রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তারা সিলেট পৌঁছাতে পারেনি। বিরোধী দলীয়
জোটের হরতালের কারণে সারাদিন ভৈরবেই কাটাতে হয় ক্রিকেটারদের। সিলেট দলের সঙ্গে বাসে থাকা
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ বলেন,‘বাসটি ব্রিজ থেকে ছিটকে গিয়ে
রেলিংয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আটকে ছিলো। ব্রিজের গার্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসটির সামনের অংশ
মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতির কথা চিন্তা করে শিউরে ওঠা জাতীয় দলের
সাবেক অধিনায়ক ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদসূত্র ইনএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেন,‘কোনক্রমে বেঁচে
গেছি আমরা। সম্ভবত, বাসটির ডানদিকে হঠাৎ একটি ট্রাক খুব কাছাকাছি চলে আসায় চালক বাসের
নিয়ন্ত্রণ হারান। তবে এটা আমাদের বাস চালকের ভাষ্য। আমরা এসময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম।
আমরা সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় রংপুর ছেড়ে আসি। কুয়াশার কারণে ধীরে এগোতে হচ্ছিলো
আমাদের।’ ওই দূর্ঘটনার পর ক্রিকেটাররা সবাই নিরাপদেই বাস থেকে নেমে আসতে সক্ষম হন। ঘন্টা
খানেক পর অপর একটি বাসে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।তবে কয়েক মাইল এগোনোর পর রাস্তায়
বিরোধী দলের সমর্থকদের দেওয়া ব্যারিকেডের কারণে ওই খানেই অবস্থান নিতে হয়। ‘আমরা সকাল
সাতটা থেকে ভৈরবের একটি রেস্তোঁরাতে আটকে আছি। স্থানীয় লোকজন আমাদের খাইয়েছে। কিন্তু
সন্ধ্যায় হরতাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে বেরোতে পারছি না।’ বলেন রাজিন। ঢাকা ও
সিলেটকে সংযোগ করা বাংলাদেশের ‘এনট’ু মহাসড়কটি বিশ্বের অন্যতম বিপদজনক মহাসড়ক হিসেবে
পরিচিতি। প্রতিবছর এখানে দূঘর্টনার কারণে প্রায় সাড়ে সাত’শ লোকের প্রাণহানি ঘটে বলে বিভিন্ন রিপোর্টে জানা যায়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024