শীর্ষবিন্দু নিউজ: পবিত্র মাস রমজানকে কেন্দ্র করে প্রতিবারের মতো এবারও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। রমজান মাসে যেসব খাদ্য সামগ্রী মানুষের অতি প্রয়োজন হয়ে দেখা দেয় সেগুলোর মূল্যই বেড়েছে। অতি লোভী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে যেন উল্লাসে মেতে উঠেছে। আর সাধারণ ক্রেতারা হয়ে পড়েছেন অসহায়। এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের যেন কোন হস্তক্ষেপ নেই।
বাজার ঘুরে জানা গেল, সিলেট নগরীতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৪ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৬০ টাকা। অথচ কিছুদিন পূর্বেও দেশের প্রায় প্রতিটি শহরের বাজারগুলোতে দ্রব্য মূল্যে দাম মোটামুটি কেনার মতো আয়ত্বে ছিল। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৬ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শশা প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রমজানের প্রথম দিনে একটু মাংস না হলে কি চলে। তাই প্রথম রমজানে শহরের বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সেই সুযোগে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দেন। গরুর মাংস যেখানে ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হতো সেই মাংস বিক্রি করা হয় ৩০০ টাকা কেজি।
রমজান মাসে দুধ-কলা দিয়ে ভাত খান অনেকে। আবার ইফতারেও কলার চাহিদা রয়েছে। সেই কলার দামও বেড়েছে। ইফতারির খাদ্য তালিকার অন্যতম হচ্ছে বেগুনি। বেগুন দিয়ে বেগুনি তৈরি হয় বিধায় বেগুনের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে অতি লোভী ব্যবসায়ীরা। তবে সরকারের ভূমিকায় কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। যেমন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৩৪ টাকার স্থলে ১৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনি বিক্রি হতো ৫০ টাকা কেজি, এখন চিনি প্রতি কেজি ৪৮ টাকা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ দ্রব্যমূল্যে দাম বেশি থাকায় রমজানে অনেকে পড়েছেন বিপাকে। এর মধ্যে আবার ঈদের বাজার আসছে সামনে। তাই ভেবে-চিন্তে কুল পাচ্ছেন না্ সাধারাণ আয়ের মানুষেরা।
Leave a Reply