সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪০

শফীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন শেখ হাসিনা

শফীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন শেখ হাসিনা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শীর্ষবিন্দু নিউজ: হেফাজতে ইসলামের আমিরের এক ওয়াজ নিয়ে সম্প্রতি দেশব্যাপী নিন্দার ঝড়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীও শনিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। হাটহাজারীতে ওই ওয়াজের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে এর তীব্র সমালোচনা ওঠেছে। ওয়াজে নারীদের নিয়ে আহমদ শফীর বক্তব্যকে জঘন্য বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, আল্লামা শফীর একটা কথা/দুই একদিন ধরে টেলিভিশনে দেখছি। আল্লামা শফী যা বলেছেন, তা অত্যন্ত জঘন্য বলে আমি মনে করি। উনি মেয়েদের সম্পর্কে অত্যন্ত নোংরা ও জঘন্য কথা বলেছেন। উনার কি মা নেই? উনি কি মায়ের পেট থেকে জন্মাননি? উনার কি বোন-স্ত্রী নেই? আমাদের মা-বোন-স্ত্রীদের সম্মান তো আমাদের রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, মেয়েদের কাজ ঘরের ভেতর। তাদের কাজ স্বামীর ঘরের আসবাবপত্র দেখাশোনা করা ও ছেলে সন্তান লালন-পালন করা। ওয়াজে আহমদ শফী নারীদের চতুর্থ শ্রেণির বেশি পড়াতে নিষেধ করেন, সমালোচনা করেন সহশিক্ষার। নারীদের চাকরি না করে বাড়িতে রাখার পরামর্শ দেন শফি। হেফাজত আমিরের এই ধরনের বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেশের নারীরা সোচ্চার হবে বলে আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম প্রথম যিনি গ্রহণ করেছিলেন- তিনি একজন মহিলাই ছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেন বিবি খাদিজা। আর কেউ সাহস করে তা করেনি। ইসলাম ধর্মে যে জেহাদ হয়। সেই জেহাদে প্রথম যে শহীদ হন- তিনি বিবি সুমাইয়া। এ কথাগুলো ওনার মনে রাখা উচিত ছিল।

গণজাগরণবিরোধী হেফাজতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করেন শেখ হাসিনা বলেন, তাদের সম্পর্কে এই নোংরা আর জঘন্য কথা বলা, আবার এই নারী নেতৃত্বকে মেনে নিয়েই। ৪ই মে বিরোধীদলীয় নেতা একটা সমাবেশ করলেন। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বললেন যে, আমি পালানোরও পথ পাব না। আর ৫ মে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা অবরোধ করল। তারা এক জায়গায় বসতে চাইল। আমরা কিন্তু আপত্তি করিনি। তারা শাপলা চত্বরে বসল। এরপর বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে আগুন দেয়া হল। জায়নামাজ পোড়ানো হল। পাঁচ তারিখ বায়তুল মোকাররমের সামনে শত শত কোরআন শরিফ পোড়ানো হয়েছে। আমি জানি না, ইসলামের ইতিহাসে এত কোরআন শরিফ এভাবে পোড়ানো হয়েছে কি না। কারা পুড়িয়েছে? হেফাজতের আর জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা। সব টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হচ্ছিল। তাদের হাত-পা ধরে হকাররা কাঁদছিল। বলছিল, আমাদের রুটি-রুজির পেটে লাথি দিয়েন না। যারা হেফাজতের আর ইসলামের নাম নিয়ে কোরআন শরিফ পোড়ালো- তারা ইসলামের কী হেফাজত করবে?

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024