ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ও মোবাইল ফোনের এসএমএসের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার ইসি সচিবালয়ের উপ সচিব (নির্বাচন) মিহির সারওয়ার মোর্শেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে অপপ্রচার ও পরস্পরকে কটুক্তি করা হয়েছে। তা নিয়ন্ত্রণেই আচরণবিধিতে সংশোধনের প্রস্তাব করা হচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ইসি উপ সচিব জানান। তবে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রার্থীরা স্থানীয় কেবল টিভির মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার চালাতে পারবেন। আচরণবিধি অনুসরণ করে সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমেও প্রচার চালানো যাবে।
ফেইসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার চালানো যাবে না। মোবাইলের এসএমএস বা ফেইসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কেউ অন্য প্রার্থীর সম্মানহানীকর কোনো প্রচার চালাতে পারবেন না। ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই আচরণবিধি সংশোধনের প্রস্তাব করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সহযোগিতা কীভাবে নেওয়া যায় সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
পোস্টার লাগানোর জন্য নতুন কিছু স্থান সুনির্দিষ্ট করার পাশাপাশি এতে প্রার্থী ও দলীয় প্রধানের সঙ্গে জোট প্রধানের ছবিও রাখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনকালে মন্ত্রী বা সমমর্যাদার ব্যক্তিরা প্রার্থী হলে তাদের নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রেও কিছু বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব করছে ইসি। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় মাইক ব্যবহারের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকে প্রচার চালানোর সুযোগ ছিল প্রার্থীদের। এখন তা বাড়িয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে ইসি উপ সচিব জানান।
সর্বশেষ এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসি ২০০৮ সালে নির্বাচনী আচরণবিধিমালায় ব্যাপক সংস্কার আনে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে কাজী রকিবউদ্দীন নেতৃত্বাধীন কমিশন নতুন করে আবারো সংস্কারের এ উদ্যোগ নিচ্ছে। গত ১৫ জুন রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট এবং ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘অপপ্রচার’ রোধে হিমশিম খেতে হয় ইসিকে।
Leave a Reply