আ রুম অফ ওয়ান’স ওন বাংলায় ‘নিজের একটি রুম’ও বলতে পারেন। বইটি লিখেছিলেন ব্রিটিশ লেখিকা ভারজিনিয়া ওলফ। এটি তার একটি দীর্ঘ রচনা। বইটি লেখার পর ভারজিনিয়া ওলফের একটি কথা মনের ভেতর উঁকি দিয়েছিল। ভারজিনিয়া মনে করলেন, “একজন নারীর অবশ্যই অর্থের দরকার। আর যদি সেই নারী লেখক হন তবে নিশ্চয়ই তার নিজের জন্য একটি বিশেষ কক্ষ জরুরি।”
নো লোগো বইটি লিখেছেন কানাডার বিশ্বায়ন ও যুদ্ধ-বিরোধী লেখিকা নাওমি ক্লেইন। ২০০০ সালে বইটি প্রকাশিত হয়। পুঁজির ভোগ্য সংস্কৃতির গুরুতর সমালোচনা উঠে এসেছে এই বইয়ে। বিখ্যাত ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিক-বহুজাতিক বিভিন্ন কোম্পানি ও করপোরেশনের বেআইনি কর্মকাণ্ড এবং অনৈতিক তৎপরতা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন নাওমি ক্লেইন।
আওয়ার বডিস, আওয়ারসেলভস বইটির নাম হতে পারে ‘আমাদের দেহ এবং আমরা’। নারীর স্বাস্থ্য এবং যৌনতাসহ নারী বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে বইটিতে। নারীদের জন্য বইটি অবশ্যই পাঠ্য মনে করেন বিশেষজ্ঞ মহল। বহুল পঠিত বইটি অন্তত ২৬টি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯৭১ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত বইটির ৯টি সংস্করণ হয়েছে।
দি ব্লুয়েস্ট আই গভীর নীল চক্ষু। মার্কিন কবি টনি মরিসনের এটি বিখ্যাত উপন্যাস।পশ্চিমা দুনিয়ায় সাদাদের দাপুটে সমাজে কালো দরিদ্র নারীরা কী পরিমাণ নিপীড়নের শিকার তারই মর্মান্তিক বর্ণনায় হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া উপাখ্যান এ বই। সাদার সাথে সাথে কালোদেরও ঘৃণা, অবজ্ঞা আর সামাজিক নানা বঞ্চনার শিকার কালো চেহারার নারীরা। কারণ, পশ্চিমা দুনিয়ার ধর্ম আর আধুনিকতার ভেতরে সাদা চামড়া আর নীল চক্ষু এক বিশ্বাস ও চির অপরবর্তনীয়।
ওয়াইড সারগাসো সি ডমিনিকান লেখিকা জেন রাইসের বিখ্যাত উত্তর আধুনিক উপন্যাস এটি। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত বইটিতে ব্রিটিশ উপনিবেশ জ্যামাইকার দাশদের মুক্তির পটভূমি এবং উত্তর ঔপনিবেশিক মনস্তত্ত্ব বইটিতে গুরুত্ব সহকারে উঠে এসেছে।
ললিতা রুশ লেখক ভ্লাদিমির নেভকভের উপন্যাস ‘ললিতা’। ১৯৫৫ সালে প্যারিস থেকে বইটি প্রকাশিত হয়। অপ্রাপ্তবয়ষ্ক এক মেয়ের ওপর একজন বয়ষ্ক পুরুষের মানসিক অবস্থা নিয়ে বইটি রচিত হয়েছে। নারী-পুরুষের অন্তর্নিহিত মানসিক নানা পরিবর্তন ও অবসন্নতা নিয়ে রচিত এ বইটি অবশ্য পাঠ্য মনে করেন অনেকে।
হিজ ডার্ক ম্যাটেরিয়ালস ট্রিলজি ব্রিটিশ লেখক ফিলিপ পুলম্যান রচিত বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ভিত্তিক ফিকশন এটি। ইংল্যান্ড থেকে ১৯৯৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। বইটিতে পৃথিবীর মতো আরো বেশ কয়েকটি এলিয়েন জগতের দেখা মেলে। লিরা বেলাকুয়ার একমাত্র মোহনীয় প্রাণ এক তরুণ নায়িকাকে নিয়ে বর্ণিত এ বইটির কাহিনী। একটানা বিরামহীনভাবে পাঠককে রহস্যের দুনিয়া তাড়িয়ে ফিরবে বইটি।
দি ফার্স্ট প্রমিজ বাঙালি লেখিকা আশাপূর্ণা দেবীর বিখ্যাত উপন্যাস এটি। ভারতের নয়াদিল্লি থেকে ইংরেজিতে লেখা বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। বইটির বাংলা তরজমা ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ও প্রকাশিত হয়। আট বছর বয়সী এক স্বাধীনচেতা সাহসী শিশু কন্যার চরিত্র নিয়ে তৈরি এ বইয়ের গল্প। ভারতীয় নারী সমাজের সংস্কার চেতনায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে বইটি। এ উপন্যাসটির জন্য আশাপূর্ণা ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেছিলেন। পরবর্তীকালে এই উপন্যাসটি অবলম্বনে একটি বাংলা সিনেমাও তৈরি হয়। এটি উপন্যাস ত্রয়ীর প্রথম খণ্ড।
হনস এন্ড রেবেল জেসিকা মিটফোর্ড ব্রিটিশ আমেরিকান বামপন্থী লেখিকা। ১৯৬০ সালে তার আত্মজীবনীমূলক বইটি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত হয়। বইটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ইউরোপের কমিউনিস্ট এবং জাতীয়বাদী ধারার নানা দ্বন্দ্ব বাস্তব অভিজ্ঞতার দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে উঠে এসেছে। একই সাথে নাৎসীবাদ, জার্মানির রাজনীতি ও স্পেনের গৃহযুদ্ধের খুঁটিনাটি চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয় এ বইয়ে।
Leave a Reply