শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮

কাটার মাস্টার না পারায় হারলো সাসেক্স: উইকেটশূন্য মুস্তাফিজ

কাটার মাস্টার না পারায় হারলো সাসেক্স: উইকেটশূন্য মুস্তাফিজ

গ্যালারী থেকে ডেস্ক: বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। জয়ের জন্য তাই মুস্তাফিজুর রহমানের দিকেই তাকিয়ে ছিল সাসেক্স। সারের বিপক্ষে চেষ্টার কমতি ছিল না বাঁহাতি পেসারের।

মোস্তাফিজ না পারলে পারে না দল- বিষয়টা এখন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোস্তাফিজের নৈপুণ্যের ওপরই যেন নির্ভর করে দলের জয়-পরাজয়। বাংলাদেশের এ তরুণ পেসার ইংলিশ কাউন্টিতে খেলতে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই দেখান দুর্দান্ত নৈপুণ্য।

তবে এবার দলকে জেতাতে পারেনি বাংলাদেশের তরুণ এই পেসার। ৩.২ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন মুস্তাফিজ। দল হারে কিন্তু দলের ৬ উইকেটে।

এসেক্সর বিপক্ষে ২৩ রানে নেন ৪ উইকেট। তার ম্যাচসেরা এই বোলিংয়ে সাসেক্স জেতে ২৪ রানে। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে সর্বশেষ ৮ ম্যাচে মাত্র ২ জয় পাওয়া দলটিকে এনে দেন দুর্দান্ত জয়। টানা ১২ ঘণ্টা বিমান সফরের ক্লান্তি নিয়ে মাঠেও নেমেও মোস্তাফিজ ছিলেন স্বরূপে।

কিন্তু পরেরদিন মোস্তাফিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘটলো সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা। সারির বিপক্ষে পারলেন না মোস্তাফিজ। ৩.২ ওভারে দিয়ে বসলেন ৩১ রান। কোনো উইকেটও নিতে পারলেন না। মোস্তাফিজের না পারার দিন পারলো না তার দলও। হেরে গেলো ৬ উইকেটে। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে সাসেক্স করে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান। সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে ক্রেইগ কাচোপার ব্যাট থেকে।

এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রিস নাশ। এই টার্গেট সামনে নিয়ে শুরুতেই ব্যাটিং ঝড় তোলে সারি। ইনিংসের প্রথম তিন বলে চার মেরে শুরু করেন সারির ব্যাটসম্যান জেসন রয়। মোস্তাফিজকে এদিন প্রথম আনা হয় চতুর্থ ওভারে। প্রথম চার বলে দেন মাত্র ২ রান। তখন মনে হচ্ছিল আজও কিছু অপেক্ষা করছে।

কিন্তু শেষ দুই বলে মোস্তাফিজকে রয় টানা চার মেরে বুঝিয়ে দিলেন দিনটা আজ তার নয়। প্রথম ওভারেই দিয়ে বসেন ১০ রান। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে কৃপণতা দেখান মোস্তাফিজ। কোনো উইকেট না পেলেও দেন মাত্র ৫ রান। কিন্তু ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে দেন ৯ রান। শেষ দুই ওভারের জয়ের জন্য সারির দরকার ছিল ৮ রানের। এমন সময় দলের ১৯ ও ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভার করতে যান বাংলাদেশের এ পেসার। প্রথম বলেই ২ রান নেন ক্রিস মরিস।

আর দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ১০ বল হাতে রেখে সারির জয় নিশ্চিত করেন মরিস। মোস্তাফিজ এদিন ১ ছক্কা ও ৩ চার হজম করেন। সারির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ডোমিনিক সিবলি। আর বেন ফকস ২২ ও ক্রিস মরিস ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।

সারেকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয়। নিজেদের ইনিংসের প্রথম তিন বলে তিনটি চার হাঁকানো এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ২৫ বলে করেন ৩৬ রান।

টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান ডমিনিক সিবলি ৩১ বলে করেন ৪০ রান। ক্রিস মরিসকে (২০*) সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন বেন ফোকস (২২*)।

এর আগে ক্রেইগ কাচোপা ও ক্রিস ন্যাশের ব্যাটে দেড়শ’ রানের সংগ্রহ গড়ে সাসেক্স। ৩৪ বলে ৭টি চারে ৪৫ রান করে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কাচোপা।

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে করেন ৩৯ রান। ১৫ বলে রান আসে ম্যাট মাচানের ব্যাট থেকে। সারের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন জাদে ডার্নবাখ ও মরিস।

২৪ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম প্রায় পূর্ণ ছিল। মুস্তাফিজ ও সাসেক্সকে সমর্থন দেওয়ার জন্য পাঁচশর বেশি প্রবাসী বাংলাদেশী মাঠে আসেন। তবে তাদের একটু হতাশই হতে হয়েছে। শুক্রবার কেনিংটন ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে সাসেক্স। জবাবে ১৮ ওভার ২ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সারে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024