শেয়ার বাজার ডেস্ক: বেনিফিশিয়ারি ওনারস (বিও) হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি বাবদ ৬১ কোটি ৩৫ লাখ দুই হাজার ৪০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) থেকে এ টাকা দেওয়া হয়।
শেয়ার লেনদেনে সকল তথ্য নিষ্পত্তি ও সংরক্ষণের ভাণ্ডার হচ্ছে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।
বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া চেকের তিনটি অনুলিপি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে হস্তান্তর করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। এ সময় বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, মো. আমজাদ হোসেন, মো. আবদুস সালাম সিকদার, ড. স্বপন কুমার বালা উপস্থিত ছিলেন।
বিও ফি বাবদ ৬১ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা তিনটি চেকের মধ্যে জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৯ কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকার, ২২ কোটি ৮১ লাখ ৩১ হাজার টাকার এবং ১৯ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকার তিনটি চালানের মাধ্যমে এ অর্থ জমা করা হয়।
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট সময়ে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫২টি। তবে চলতি বছরের ২৮ জুলাই এ হিসাবের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ২১৪টি। অর্থাৎ এ সময়ে বিও হিসাব কমেছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৬৩৮টি।
২০১৩ সালের ৩০ জুন বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৩৫টি। ২০১৪ সালের জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫৩টি।
গত ২৮ জুলাইয়ের হিসাবে দেখা যায়, মোট বিও হিসাবধারীর মধ্যে পুরুষ হিসাবধারী ২১ লাখ ৩১ হাজার ৫৯১, নারী সাত লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৫ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাবের সংখ্যা ১০ হাজার ৬২৮।
মোট বিও হিসাবের মধ্যে বাংলাদেশি ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯০ জন, প্রবাসী এক লাখ ৪২ হাজার ৪৯৬ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিও হিসাবের সংখ্যা ১০ হাজার ৬২৮।
প্রতিটি বিও হিসাবের নবায়ন ফি ৫০০ টাকা। এর মধ্যে সিডিবিএল ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, বিএসইসির তহবিলে ৫০ টাকা ও বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়।