সজীব মিয়া: কম্পিউটারে বাংলা লেখার সফটওয়্যার বিজয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল আনন্দ ফন্ট বা লিপি নিয়ে।
সেই যাত্রার সর্বশেষ সংযোজন পরমা নামের নতুন একটি ফন্ট। এই ফন্ট সংযোজনার মধ্য দিয়ে ১১০টি বাংলা ফন্ট তৈরি করল বিজয়ের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আনন্দ কম্পিউটার্স।
এ বিষয়ে আনন্দ কম্পিউটার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফা জব্বার বলেন, শুধু কম্পিউটারের জন্য নয়, বাংলা মুদ্রণযন্ত্রের ইতিহাসেও এটি একটি মাইলফলক। এর আগে এত বৈচিত্র্যপূর্ণ বাংলা ফন্ট কখনো তৈরি হয়নি।
১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর কম্পিউটারে বাংলা লেখালেখির জন্য প্রথমবারের মতো বিজয় ব্যবহার করা হয়। কারিগরি দিক থেকে বিজয় একটা ইন্টারফেস (অন্য সফটওয়্যারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্ট কাজ করে)। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মতো লেখালেখির কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে বাংলা লেখার কাজটি করে দেয় এ প্রোগ্রাম।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিজয় সফটওয়্যারের যাত্রা ১৯৮৮ সালে হলেও, বিজয়ের প্রথম ফন্ট নকশা করা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। সেই ফন্ট নকশা করেছিলেন হামিদুল ইসলাম। এরপর বিজয়ের টাইপোগ্রাফি উন্নয়নে যুক্ত হন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শিব নারায়ণ দাশ, উজ্জ্বল কুমার মজুমদার, মাকসুদ আহমেদ, মজিবুর রহমান প্রমুখ। বর্তমানে বিজয়ের ফন্ট নকশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ১৩-১৪ জনের একটি দল।
গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আনন্দ কম্পিউটার্স ১০০টি ফন্ট তৈরি করেছিল। আট মাস পেরোতেই যুক্ত হয়েছে নতুন আরও ১০টি ফন্ট। এখন পর্যন্ত বিজয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফন্ট সুতন্বী।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ফন্ট তৈরি একটি সৃজনশীল কাজ। এর জন্য নকশাকার দরকার। আবার একটি ফন্ট শুধু নকশা করলেই হয় না, তা কম্পিউটার উপযোগী করতে হয় প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে। দেশের প্রকাশনা থেকে ডিজিটাল আঁকার কাজে যে লিপিবৈচিত্র্য এসেছে, সে ক্ষেত্রে বিজয়ের নতুন ফন্ট সংযোজন বড় ভূমিকা রাখছে।