শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগ দিতে গত বছর যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়া যাওয়া তিন কিশোরীর মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খাদিজা সুলতানা গত মে মাসে মারা গেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। তার পরিবারের আইনজীবী জানিয়েছেন, মারা যাওয়ার আগে আইএসের প্রতি খাদিজার মোহ কেটে গিয়েছিল। সে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চেয়েছিল।
লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ওই তিন শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য থেকে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে পাড়ি জমায়। বাকি দুই শিক্ষার্থী হলো শামীমা বেগম ও আমিরা আবাসি। খাদিজার বয়স ছিল তখন ১৬ বছর। শামীমা ও আমিরার বয়স ছিল ১৫ বছর। আমিরা ছিল ইথিওপীয়।
খাদিজার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জি বলেন, আইএসের কথিত রাজধানী সিরিয়ার রাক্কায় গত মে মাসে রুশ বিমান হামলায় খাদিজা মারা গেছে বলে তাঁরা জেনেছেন। মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে বোন হালিমাকে টেলিফোনে খাদিজা বলেছিল, ‘আমি ভালো বোধ করছি না। ভয় হচ্ছে।’ এরপরই সে আইএসের আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তুরস্কের সীমান্ত বন্ধ থাকায় ফিরতে পারেনি।
ব্রিটিশ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইটিভির সাপ্তাহিক বুলেটিন আইটিভি নিউজের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, খাদিজা তার বোনকে টেলিফোনে বলছে, আমি কখনোই তোমার সঙ্গে মিলতে পারব না। সীমান্ত এখন বন্ধ, আমি কী করে বের হব।
তাসনিম আকুঞ্জির ভাষ্য, খাদিজা এতটা ভীত হয়ে পড়েছিল যে, সে আইএসের কবল থেকে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল। স্বেচ্ছায় আইএসে যোগ দেওয়া ১৭ বছর বয়সী এক অস্ট্রীয় কিশোরী পালানোর চেষ্টার পর জঙ্গিরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করায় খাদিজার ভয় আরও বেড়ে যায়।