লায়েকুজ্জামান: আবার আলোচনায় সেই হেনরী। যমুনাপাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জ ছাড়িয়ে তিনি আলোচিত-সমালোচিত পুরো দেশ জুড়ে। তার হঠাৎ উত্থানে বিস্মিত সিরাজগঞ্জের মানুষ। একজন স্কুলশিক্ষকের এমনভাবে রাতারাতি বিত্তবান বনে যাওয়া, চলনে বলনে এতটা বদল হওয়া কি করে সম্ভব? এমন প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। রাজনীতির যে সিঁড়ি বেয়ে এ ময়দানে তার আগমন তার শ্বশুর প্রয়াত জননেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার অর্ধশত বছরের রাজনৈতিক জীবনে যা করেননি, করতে পারেননি, হেনরী তা করেছেন মাত্র পাঁচ বছরে। ভোগবাদী রাজনীতির এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত গড়েছেন তিনি। পুরো নাম জান্নাত আরা। হেনরী নামেই পরিচিত। মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক।
জন্ম সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডা মোড়ের মিয়া বাড়িতে। পিতা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। হেনরী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ পাস করেছেন। বিয়ে করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের এক সময়ের সভাপতি প্রয়াত জননেতা মোতাহার হোসেন তালুকদারের ছেলে শামীম তালুকদার লাবুকে। সে সূত্র ধরেই তার রাজনীতিতে আগমন। মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্রবধূর পরিচয়েই সিরাজগঞ্জ শহরের সবুজ কানন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান। সে সময়ে তার পরিচিতি ছিল মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্রবধূ এবং সংগীতশিল্পী হিসেবে। চালচলনও ছিল সাদামাটা। যাতায়াত করতেন বাসে, রিকশায়, পায়ে হেঁটে।
২০০২ সালে মোতাহার হোসেন তালুকদারের মৃত্যুর পর দলে তার অবদানের কথা বিবেচনা করে ওই পরিবারের একজনকে রাজনীতিতে জড়িয়ে রাখার জন্য হেনরীকে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেয়া হয়। সেই থেকে শুরু তার রাজনৈতিক ময়দানে পথচলা। আর পিছু তাকাতে হয়নি তাকে। সিরাজগঞ্জ সদর আসন থেকে নির্বাচন করতেন তার শ্বশুর মোতাহার হোসেন তালুকদার। শ্বশুরের মৃত্যুর পর পারিবারিক অনুরোধে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ওই আসনে মনোনয়ন দেন হেনরীকে। নির্বাচনে তিনি হেরে যান বিএনপি প্রার্থী সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী রুমানা মাহমুদের কাছে। যদিও তার পরাজয়ের পেছনে দলীয় কোন্দল এবং ওই এলাকার এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ভূমিকাকে দায়ী করা হয়। নির্বাচনে পরাজিত হলেও হেনরী মনোনয়ন প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে তার আঁচলে বেঁধে ফেলেন ভাগ্য খুলে নেয়ার চাবি সহ উত্থানের জাদুর কাঠি। নির্বাচনে পরাজিত হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হেনরীকে সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক করা হয়। এতেই খুলে যায় সৌভাগ্যের দরজা।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এক উপদেষ্টার আশীর্বাদের খবর জানাজানি হলে নিজ এলাকার প্রশাসন সহ রাজনীতির ওপর প্রভাব বাড়তে থাকে হেনরীর। তিনি জড়িয়ে পড়েন তদবির বাণিজ্যে। সোনালী ব্যাংকে হল-মার্ক কেলেঙ্কারি দেশময় আলোচনার শীর্ষে তুলে দেয় হেনরীকে। সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ক্ষমতাসীন দলের এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা এবং সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাদেরকে অর্থ দেয়ার বিনিময়ে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন শাখা থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লুটে নেয় হল-মার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদ। দেশের সবচেয়ে বড় এ আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠিয়ে ডেকে নেয় হেনরীকে। দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। এখনও তদন্ত চলছে ওই আর্থিক কেলেঙ্কারির।
গত মাসে দুদক চেয়ারম্যান মিডিয়াকে জানিয়েছেন, অতি শিগগিরই চার্জশিট দেয়া হবে হল-মার্ক কেলেঙ্কারি মামলার। তাতে জড়িয়ে পড়তে পারেন সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের অনেকে। মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ায় ব্যাংকের ঋণ প্রদান, চাকরি বাণিজ্য, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও বদলি, ঋণ প্রদান ও মওকুফ করা, বিভিন্ন তদবির বাণিজ্য করে মাত্র পৌনে চার বছরে হেনরী প্রায় শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বাসায় বসে তিনি তালিকা করে বিভিন্ন নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য করতেন। সবকিছুই হতো টাকার বিনিময়ে। টাকা না দেয়ায় অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করে দিয়েছেন। এসব কাজের লিয়াজোঁ করার জন্য একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করা ছিল। বর্তমানে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার গজারিয়া নামক স্থানে ৭ বিঘা জমির উপর শ্বশুর-শাশুড়ির নামে সখিনা-মোতাহার ফ্লাওয়ার মিলের কাজ শুরু করেছেন হেনরী। সদানন্দপুর এলাকায় তার পৈতৃক বাড়িতে পিতা আবদুল হামিদের মালিকানায় একটি পাঁচ তলা বাণিজ্যিক ভবন ও শহরের চৌরাস্তায় একটি বহুতলবিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ কাজ চলছে তার সহযোগিতায়। ইতিমধ্যেই মূল অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে।
শ্বশুরবাড়িতে থাকার জন্য সবকিছু অত্যাধুনিক ভাবে সুসজ্জিত করেছেন। গত বছর তার বাসা থেকে ৩১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুরি হয়। এ মামলায় পুলিশ ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৪৫ হাজার টাকা উদ্ধার করলে তিনি নিজেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। এছাড়াও ঢাকার রূপনগর আবাসিক এলাকায় ‘রজনীগন্ধা’ নামের বাড়িতে তার নামে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার উত্তরায় ৫ কাঠা জমির প্লট, প্রায় ৮৭ লাখ টাকার একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১১-১৭৫৫) জিপ, একটি প্রাইভেট কারসহ (নম্বর ঢাকা- মেট্রো-ঘ-২৭-৩৬০০) আরও সম্পদ। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে তার দু’টি বাস এবং একটি কোম্পানিতে প্রায় কোটি টাকার শেয়ারও রয়েছে। হেনরী এত অগাধ সম্পত্তির মালিক হলেও গত জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় হেনরী উল্লেখ করেছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সদানন্দপুর এলাকায় নিজ নামে সাড়ে ১৭ শতাংশ কৃষি জমি (৩৪ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের), পৌরসভার ভাঙ্গাবাড়ী মৌজায় দশমিক ৩৬ শতাংশ সেমিপাকা বাড়ি (২ লাখ টাকা মূল্যের), ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বার্ষিক আয় ১ লাখ ২২ হাজার টাকা এবং স্বামীর নামে কৃষিজমি ৩ বিঘা (২ লাখ টাকার), অকৃষিজমি সাড়ে ৬ শতক (মূল্য ২ লাখ টাকা) ও নগদ ২ লাখ টাকার হিসাব।
হেনরীর হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের সঙ্গে বাস্তবের ফারাক অনেক। তিনি ৭ বিঘা জায়গার ওপর সখিনা-মোতাহার জুট মিল শুরু করেছেন হলফনামায় তার উল্লেখ নেই। স্বর্ণের উল্লেখ আছে ২০ ভরি, কিন্তু বাসায় চুরি হওয়ার পর থানায় জানিয়েছিলেন স্বর্ণ খোয়া গেছে ৩১ ভরি। হলফনামায় তিনি বলেছিলেন, তার বার্ষিক আয় ১ লাখ ২২ হাজার টাকা। হল-মার্ক কেলেঙ্কারির পর সমপ্রতি হেনরী আলোচনায় উঠে এসেছেন তার বাসায় তথাকথিত বডিগার্ড মামুন ও মামুনের চাচাতো ভাই জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহম্মেদসহ অন্য ভাইদের সঙ্গে মারামারি ও গোলাগুলির ঘটনায়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, হেনরীর শটগান দিয়ে একজন গুলি করেছে আরেক জনকে। তবে হেনরী দাবি করছেন, ওই দিন তার লাইসেন্স করা শটগানটি ব্যবহার হয়নি। তাহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, মামুন যে শটগানটি দিয়ে গুলি করেছে সেটি কার এবং এখন সেটি কোথায় আছে?
প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, হেনরী কিভাবে শটগানের মালিক হলেন? হলফনামায় তার বার্ষিক আয় মাত্র ১ লাখ ২২ হাজার টাকা অথচ বাংলাদেশ সরকারের চলমান অস্ত্র আইনে বলা হয়েছে দেশের কোন নাগরিককে অস্ত্র লাইসেন্স পেতে হলে তাকে বছরে কমপক্ষে ২ লাখ টাকার আয়কর দিতে হবে। ২ লাখ টাকার আয়কর দিতে হলে তার কমপক্ষে বার্ষিক আয় থাকতে হয় ৫০ লাখ টাকা। সংসদ সদস্য নির্বাচন করার পর থেকেই শুরু হয় হেনরীর অনৈতিক পথচলা। নির্বাচনের পরই তিনি সবুজ কানন স্কুল থেকে ছুটি নেন। স্কুলে তার বদলে শিক্ষকতা করতে দেন তার চাচাতো বোনকে। অথচ স্কুল থেকে বেতন তোলা হয় হেনরীর নামে। হল-মার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে সে সময় সবুজকানন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ মাহফুজা পারভীন জানিয়েছিলেন, সংসদ নির্বাচনের পর তিনি দুই বছরের ছুটি নেন। সেই থেকে তার পরিবর্তে তার চাচাতো বোন অলিদা পারভীন জলিকে খণ্ডকালীন নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তার নামে প্রতি মাসে বেতন দেয়া হয়েছে। স্কুলে না এসে কিভাবে বেতন পেলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি আর কোন তথ্য দিতে পারবেন না বলে জানান। তবে তিনি বলেন, হেনরীকে মৌখিকভাবে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।
সে সময়ে প্রধান শিক্ষিকা হেনরীকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে বললে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, তিনি বেতনের টাকা ফেরত দিয়েছেন। বর্তমানে সবুজ কানন স্কুলে কলেজ শাখা খোলা হয়েছে। হেনরী এখন স্কুল শাখা ছেড়ে কলেজ শাখায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে কাজ করছেন। হল-মার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টির সময় জান্নাত আরা হেনরী সংবাদ সম্মেলন করে তার সম্পদ নিয়ে উত্থাপিত বিষয়াদির জবাব দিতে গিয়ে বলেছিলেন, শ’ শ’ টাকার মালিক হয়েছি মর্মে যে সব খবর প্রচার হয়েছে তা মিথ্যা ও কাল্পনিক। শ’ কোটি টাকা তো দূরের কথা এক কোটি টাকার মালিক হওয়াও আমার জন্য দুঃস্বপ্নের ব্যাপার। আমার যে সব সম্পত্তি আছে তা বার্ষিক আয়কর রিটার্ন দাখিলের মাধ্যমে বৈধ সম্পত্তি। আমি সবুজ কানন স্কুলে শিক্ষকতা করি। এর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির পরিচালক এবং সোনালী ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের একজন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
এছাড়াও বাংলাদেশ মহিলা কল্যাণ পরিষদ ও সমাজ কল্যাণ পরিষদেরও সদস্য এবং বাংলাদেশ বেতারের ‘ক’ শ্রেণীর রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। ‘তোমায় গান শোনাবো’ শিরোনামে প্রতি মাসে আমার ২টি অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। এসব উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে কিস্তিতে একটি প্রাইভেট কার কিনেছি। যার অর্ধেক কিস্তি এখনও পরিশোধ হয়নি। রাজউকের উত্তরা প্রকল্পে শিল্পী কোটায় একটি প্লট লিজ নিয়েছি। এছাড়া ঢাকায় আমার কোন ফ্ল্যাট বা প্লট নেই। শ্বশুরের বাড়ি ব্যতিত কোন বাসা বা বাণিজ্যিক ভবন নেই। ডেসটিনি বা কোন কোম্পানিতে আমার কোন শেয়ার নেই। সংবাদ সম্মেলন হেনরী ল্যান্ডক্রুজার জিপ বা ঢাকা রুটে তার কোন বাস নেই দাবি করেন। আপনার ব্যবহৃত ওই ল্যান্ডক্রুজার জিপটি তাহলে কার- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি জানিয়েছিলেন, ল্যান্ডক্রুজারটি তার স্বামীর এক আত্মীয়ের। তবে তার নাম বলতে পারেননি হেনরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বাবার বাড়ির ওই বিল্ডিং ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে করা হচ্ছে। সেখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। ফ্লাওয়ার মিলের জায়গা আমার শ্বশুরের। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ২ কোটি টাকা লোন নিয়ে সবেমাত্র মিল নির্মাণের প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান কমিটির সহ সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য বলেন, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি থেকে সমপ্রতি তার বাসায় গুলির ঘটনা এতে অবশ্যই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাকে নিয়ে পত্রপত্রিকায় নানা লেখালেখি হচ্ছে এটা দলের জন্য ভাল খবর নয়। এমনিতেই অনেক কারণে দলের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চলছে, আবার এই সময় তার বাসায় গুলি দলকে আরও বিপদে ফেলেছে, সাধারণ মানুষের বাসায় কোন ঘটনা ঘটা আর রাজনৈতিক নেতার বাসায় ঘটনা এক নয়। কারণ সব সময়ই রাজনীতিবিদদেরকে বেশি মাত্রায় জবাবদিহির মধ্যে থাকতে হয়।
তিনি বলেন, আমরা তাকে ডেকেছিলাম, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই ধরনের কথা বলেন সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি মইনউদ্দিন খান চিনু। তিনি বলেন, হেনরীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সিরাজগঞ্জে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি একেকবার একটি ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে দলকে বিপদে ফেলছেন। তার বিরুদ্ধে স্বল্প সময়ে বিপুল বিত্তের মালিক হওয়ার কথা উঠছে। এতে দলের সুনাম বাড়ে না। কারণ আওয়ামী লীগ হচ্ছে ত্যাগী কর্মীদের প্রতিষ্ঠান। না খেয়ে, কিছু না পেয়ে কর্মীরা দল আগলে পড়ে থাকে। সেই কর্মীদের সংগঠনের নেতারা দলকে বারবার বিতর্কিত করবেন এটা মানা যায় না বলে আমরা মূল দলের নেতাদের বলেছি। তাদের অনুরোধ করেছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দলকে বাঁচাতে।
Leave a Reply