শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত এক আলাচনা সভা ও জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠিত।
১৫ আগষ্ট সোমবার লন্ডন সময় সকাল ১১টায় সাউথ ওয়েষ্ট লন্ডনের সেলসী ওল্ডটাউন হলে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার খন্দকার এম তালহার সভাপতিত্বে ও ফাষ্ট সেক্রেটারী সায়েম আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অমর একুশে গানের রচয়িতা প্রবীণ সাংবাদিক কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী, সব্যসাচী লেখক কবি সৈয়দ সামসুল হক।
অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের প্রেসিডেন্ট খালেদা কোরেশী, সাবেক ছাত্রনেতা মারুফ চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজুর রহমান খানসহ যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
জাতির জনকের উপর কবিতা আবৃত্তি করেন টিভি প্রেজেন্টার উর্মি মাজহার। অনুষ্টানের শুরুতে জাতির জনক ও ১৫ আগষ্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জনিয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
একই অনুষ্ঠানে লন্ডন্থ বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবসে একটি স্মরনিকা প্রকাশ করা হয়। দ্বিভাষিক এই স্মরনিকায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে খ্যাতিমান লেককদের কয়েকটি লিখা স্থান পায়।
আলোচনায় সভায় বক্তারা এভিমত ব্যক্ত করে বলেন, জাতীয় শোককে শক্তিতে পরিনত করতে হবে আর এই শক্তির চাকা যেন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিতে সচল থাকে। বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, এরা চাইছে বাংলাদেশকে একটি উগ্রসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতে। দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
এর পর জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। এর পর একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ, ডক্টর এসোসিয়েশন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ।
সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদের বাণী পাঠ করেন বাংলাদেশ মিশনের আর্মি এ্যাটাচী ব্রিগেডিয়ার শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন, প্রধান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিষ্টার কাউন্সিলার এম জোবায়ের, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিষ্টার প্রেস সাংবাদিক নাদিম কাদির ও পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলার রাজনৈতিক এম আই আবেদিন ।
সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের শুধু স্বাধীনতা শুধু এনেই দেননি, বাঙ্গালী হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
সব্যসাচী লেখক শামসুল হক বলেন, জাতির জনককে হত্যার পর লন্ডন্থ বাংলাদেশ মিশনে গিয়েছিলেন সংবাদ সংগ্রহ করতে তখনকার কুটনৈতিকদের দ্বারা জাতির পিতা ছবি নামিয়ে ভাংচুর করা ও স্বাধীনতা বিরুধের উল্লাসের কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে বলেন বর্তমান কুঠনীতিকরা যেন এমন না হয়। সেই সাথে তিনি জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকীতে লন্ডনে একটি অনুষ্টান আয়োজনের জন্যে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, তিনি বিবিসিতে কর্মরত থাকাকালীন সময় প্রথম পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পনের খবরটি প্রচার করেছিলেন এর পর বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন আসেন তখন বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেছিলেন।