শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার জিসিএসই পরিক্ষার শিক্ষার্থীরা আশানুরুপ ফলাফল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে জিসিএসই পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেছে বাঙ্গালী শিক্ষার্থীরা তাদের সাফল্য অব্যাহত রেখেছে। বরাবরের মত এবারো বাংলাদেশী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গায় বাঙ্গালী শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করেছে।
সেকেন্ডারি স্কুল শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা জিসিএসইতে এবারও টাওয়ার হ্যামলেটসের ছাত্রছাত্রীরা তাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইংরেজি ও অংকসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৫টির বেশি এ স্টার গ্রেড লাভের ক্ষেত্রে বারার জিসিএসই শিক্ষার্থীরা প্রতিবারই অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
ল্যাংডন পার্ক স্কুলের হেডটিচার রিচার্ড ফিৎজেরাল্ড বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের শিক্ষার্থীরা অব্যাহতভাবে যে সাফল্য অর্জন করে আসছে, তাতে আমরা তাদেরকে নিয়ে খুবই গর্বিত। এই সাফল্যের পেছনে যেমন অনেক ধরনের পরিবর্তন এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারির কঠোর পরিশ্রম থাকলেও মূলত ছাত্র ছাত্রীদের ভালো রেজাল্ড করার অঙ্গিকার, দৃঢ়তা, এবং তাদের পরিবারগুলোর সম্পৃক্তার ফলেই আজ আমরা এই অসাধারণ সাফল্য উদযাপন করছি।
গত বছর ল্যাংডন পার্ক স্কুলের ৬২ শতাংশ শিক্ষার্থীরা জিসিএসইতে ৫ বা তারও বেশি এ স্টার থেকে সি গ্রেড (ইংলিশ ও ম্যাথস সহ) লাভ করেন, যা এর আগের বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
এই স্কুলের এক কৃতি শিক্ষার্থী ফারিদাত আব্দুলসালামি ৮টি এ স্টার ও ২টি এ পেয়েছেন। শাহ আহমেদ ৯টি এ স্টার ও ২টি এ পেয়েছেন। ৩ এ স্টার, ৪ এ ও ৪ বি গ্রেড লাভকারী নিনা লাই। ৯টি এ – সি গ্রেড লাভকারী কৃতি শিক্ষার্থী শাজিয়া বারী সাইকোলোজী নিয়ে উচ্চচতর শিক্ষা লাভে আগ্রহী।
ল্যাংডন পার্কে অধ্যয়ন সকল শিক্ষার্থীরা এক বাক্য বলেন, ল্যাংডন পার্কে অধ্যয়ন করতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত। এদের মধ্যে কেউ কেউ উচ্চতর শিক্ষা বা মেডিসিন বিষয়ে পড়াশুন করতে আগ্রহী বলে জানান তারা।
মেয়র বিগস বলেন, আজ যারা তাদের অনবদ্য রেজাল্ড হাতে পেয়ে উদযাপন করছেন, আমি তাদেরকে নিয়ে গর্ববোধ করি এবং ল্যাংডন পার্ক স্কুলে এসে কয়েকজন কৃতি শিক্ষার্থীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে মিলিত হতে পেরে আমি খুবই সন্তুষ্ট।
এদিকে ২০০৮ সালের পর এবারের জিসিএসই পরিক্ষার ফলাফল সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। এতে দেখা গেছে এ স্টার থেকে সি গ্রেডে ফলাফল পতন হয়েছে ৬৯% থেকে ৬৬.৯%। শুধু এ স্টার কমেছে ৬.৬% থেকে ৬.৫%। এই ফলাফলের জন্য ইংরেজী ও গনিতের খারাপ ফলাফল কে দায়ী করছেন অনেকেই।