শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত জেলা পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ডিসেম্বরে এ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানিয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
এতোদিন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলেও কখনো জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়নি। সরকার প্রথমবারের মত এ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
নির্বাচনে ১৫টি ভাগে ভাগ করা হবে একটি জেলাকে। সদস্য নির্বাচিত হবেন ১৫ জন। আর সংরক্ষিত আসন করা হবে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে।
চার স্তর বিশিষ্ট (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। যেসব জেলায় সিটি করপোরেশন নেই, সেসব জেলায় তিন স্তরের জনপ্রতিনিধিরাই ভোট দেবেন। তাদের ভোটে ২১ সদস্য প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত ৫ জন মহিলা সদস্য নিয়ে গঠিত হবে জেলা পরিষদ।
জানা গেছে, এ নির্বাচনে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে নয়, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে। স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন প্রায় ৬৭ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার আছেন ইউপিতে। দেশে বর্তমানে ইউপির সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭১। প্রতিটি ইউপিতে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬০ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।
এভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে ৫ হাজার ও ১১টি সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।
মূলত চারটি প্রতিষ্ঠানের এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। আর এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অবসান হবে জেলা পরিষদের প্রশাসক যুগের।