শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: বিকেল সাড়ে তিন টায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার পরিবারের সদস্যদের ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
মীর কাসেম আলীর মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া শনিবার সকালে গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদেরকে বিকাল সাড়ে ৩টায় কাশিমপুর কারাগারে যেতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামির সঙ্গে শেষবার দেখা করতে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের। কখন এবং কোথায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।
তবে কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছে তারা। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, সরকারি আদেশ বাস্তাবায়নে কারা কর্তৃপক্ষ সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছে।
শেষ সাক্ষাৎ করতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে গেছেন যুদ্ধাপরাধে ফাঁসির অপেক্ষায় থাকা জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর স্বজনরা। বিকাল পৌনে চারটার দিকে ছয়টি গাড়িতে করে শিশুসহ পরিবারের ২৬ জন সদস্য কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাণভিক্ষা না চাওয়ায় যে কোন সময় সরকারের নির্দেশে কাসেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকর হবে। এরই মধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদ- কার্যকরের আগে আসামির সঙ্গে শেষ বার দেখা করতে দেয়া হয় পরিবারের সদস্যদের।
বিবিসি বাংলা একটি দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে জানাচ্ছে, এরইমধ্যে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মীর কাসেম আলী হচ্ছেন জামায়াতের পঞ্চম শীর্ষ স্থানীয় নেতা যার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হতে চলছে।
এর আগে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল।