নিউজ ডেস্ক: ঈদের ছুটিতে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দরে বিয়ের হিড়িক পড়েছে। কোরবানির মাংস দিয়েই চলছে নতুন আত্বীয়তা ।ঈদের ছুটিতে এখানে প্রায় শতাধিক এর কাছাকাছি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
ফলে নিকাহ রেজিষ্ট্রারদের বিরতিহীন সময় কাটছে। পবিত্র ঈদুল আযাহার কোরবানিকে উপলক্ষ্য করে অনেকে দিন খন ঠিক করে রেখেছে ঈদে আসা আত্বীয় স্বজনকে আপ্যায়ন করতে হবে।
তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চিরিরবন্দরে বিয়ের হিরিক লেগেছে। ঈদকে সামনে রেখে লম্বা ছুটি পাবে তা মাথায় রেখেই ওই সময় বর ও কনে পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের দিনক্ষন ঠিক করা হয়।
সবাই ঈদের ছুটিকেই বেছে নিয়েছে বলে নিকাহ রেজিষ্ট্রার ও সংশ্লিষ্ট পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামে বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। কোন কোন বাড়িতে ২টি বিয়েও হয়েছে।
বিয়ের কারনে ভাড়ায় চালিত হাইস মাইক্রোবাস, ও কারের সংকট,দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত টাকাতেও যানবাহন মিলছে না। ফলে একই পরিবহন দিয়ে একাধিকবার বিয়ে বাড়ীতে ট্রিপ দেয়া হচ্ছে।
অপর দিকে ডেকরোটরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না ডেকরোটর ভাড়া।
চাম্পতলী বাজারের ডেকরোটর ব্যবাসায়িক শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদের বিশ দিন আগেই আমাদের সব বায়না হয়ে গেছে , তাই অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
অন্য দিকে নিকাহ রেজিষ্ট্রাদের বিরতিহীন সময় কাটছে। সাতনালা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার ওথান ইসলাম বলেন, এতো বিয়ের কারণে আমরা সময়ই পাচ্ছি না।এদিকে অনেকে কোরবানিকে লক্ষ করে বিয়ে সম্পুন্ন করছে। তাছাড়া ঈদের লম্বা ছুটিতে অনেকেই বাইরে থেকে এসেছেন, তারাই বেশী বিয়ে করছে।
উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের মাষ্টারপাড়া গ্রামের মৃত খোকার পূত্র মমিনের ঈদের পর দিনই গাঁয়ে হলুদ হয়েছে। এবং তার পর দিন তার বিয়ে সম্পুন্ন হয়। পূত্রের মা জানায় কোরবানি ঈদের সময় আত্বীয় স্বজন সবাই কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসে তাই সবাইকে একসাথে পেয়ে এই বিয়ের আয়োজন করা।