বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে হবে বলে এটা সাফ জানিয়ে দেশটির সরকার অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের আহবান জানিয়েছে।এজন্য প্রতিটি জেলায় জনসংখ্যা হিসেব করে কোটাভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হবে জানানো হয়েছে।
আগামী মাসের শুরুর দিকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান। তিনি জানান, অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। প্রতিটি উপজেলার জন্য নির্ধারিত কোটায় ফরম পূরণ হয়ে গেলে আর রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। তারজন্য সবাইকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আগে আসলেন আগে পাবেন ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
মালয়েশিয়াতে বর্তমানে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো। জনাব খান বলেন, এর মধ্যে প্রায় তিন লাখ শ্রমিক বৈধ কাগজপত্র নিয়ে মালয়েশিয়াতে আছেন। আর বাকিরা সব অবৈধ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই অবৈধ শ্রমিক এবং জনশক্তি রপ্তানিতে নানা ধরনের অনিয়মের কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়া চার বছর আগে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দেয়। গত মাসে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে সরকারিভাবে শ্রমিক প্রেরণের ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্বারক চুক্তি সাক্ষর হলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টিতে এক ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।
তবে সরকার স্বচ্ছতার কথা বললেও তাতে পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকেই। মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক অনেকেই বলেন, ”আমরা যারা কম শিক্ষিত তারা পুরো বিষয়টি সম্পকে অবগত নই এবং অনলাইনে কিভাবে ফর্ম পূরণ করতে হয় বা কোথায় গেলে জানতে পারবো সে বিষয়ে কোন সাহায্য পাচ্ছি না।” তিনি বলেন, ”এ বিষয়ে যারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছে তারা সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে উল্টো বেশি টাকা নিয়ে সাহায্য করার কথা বলে থাকে। এক্ষেত্রে আদম ব্যবসায়ীরাই এই কাজটি করছে।
এ বিষয়ে তিনি দলীয় প্রভাবের আশংকার কথা বলেন। তবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান বলেন, তারা কোন ধরনের অনিয়মের বিষয়টি পুরোটা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তা সামাল দিতেই কম্পিউটারে বিষয়টি নির্ধারণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং একটি বিশেষ দল এটি সাবক্ষনিক পযবেক্ষন করবে।
সুত্র: বিবিসি
Leave a Reply