শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালীর এক স্কুলছাত্রের লেখা চিঠির জবাবে পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট পটুয়াখালী গভ. জুবিলী হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস মির্জাগঞ্জ উপজেলায় পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী ওই চিঠির জবাবে বলেন, শীর্ষেন্দুর চিঠি পেয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত। নৌকায় নদী পার হবার ঝুঁকি নিয়ে ছেলেটির উদ্বেগের প্রশংসা করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠি আগামীকাল শীর্ষেন্দুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী গভ. হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, মির্জাগঞ্জের পায়রা নদী যে অত্যন্ত খরস্রোতা সে বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। শীর্ষেন্দুকে ওই নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর শীর্ষেন্দুর লেখা চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে ২০ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে শীর্ষেন্দু জানায়, সে বাংলাদেশের একজন নাগরিক। তার বাবার নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং মায়ের নাম শীলা রাণী সন্নামত।
আমি পটুয়াখালী গভ. হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। আমার দাদু অবিনাস সন্নামত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এলাকার পায়রা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে শীর্ষেন্দুর জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল নিয়ে রচনা লিখে সে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি। আমাদের মির্জাগঞ্জ নদী পার হয়ে যেতে হয়… ওই নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ… কখনো নৌকা ডুবে যায়, কখনো কখনো ট্রলার ডুবে যায়।
ছেলেটি জানায়, এসব দুর্ঘটনায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন এবং সে তার বাবা মাকে হারাতে চায়না কারণ সে তাদের খুব ভালোবাসে। তাই আমাদের জন্য মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীতে একটি ব্রিজ তৈরির ব্যবস্থা করুন, চিঠির শেষে এই কথা লিখে শীর্ষেন্দু।
শীর্ষেন্দু গণমাধ্যমকে জানায়, ১৫ আগস্ট সে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে এবং ডাকযোগে পাঠায়। শীর্ষেন্দু তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার বাবা পটুয়াখালী শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং তার মা সমাজকল্যাণ দফতরে কাজ করেন। শহরের পুরান বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন তারা।
শীর্ষেন্দুর বাবা বিশ্বজিৎ বলেন, তাকে নিয়ে আমরা খুব গর্বিত। প্রধানমন্ত্রী তার চিঠির জবাব দিয়েছেন বলে আমরা আনন্দিত।