শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: ইন্সটিটিউট ফর গভর্নমেন্ট নামের থিংক ট্যাংক থেকে প্রকাশিত প্লানিং ফর ব্রেক্সিট: সাইলেন্স ইজ নট এ স্ট্রাটেজি নামের রিপোর্টে বৃটিশ সরকারকে বছরে খরচ করতে হবে ৬ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় এ বাস্তবায়ন করতে কমপক্ষে ৫০০ সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে সময়ের অপচয় হচ্ছে। এতে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের নীরবতার সমালোচনা করা হয়েছে।
একই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে সুস্পষ্টভাবে সরকারি কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই। ব্রেক্সিট বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনটি বিভাগকে। তা হলো ফরেন অফিস, ডিপার্টমেন্ট অব এক্সিটিং দ্য ইইউ এবং ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড।
এ দায়িত্বে আছেন বরিস জনসন, ডেভিড ডেভিস ও লিয়াম ফক্স। এক্ষেত্রে ক্ষমতার বন্টন নিয়ে তিনজনের মধ্যে বিরোধের ঝুঁকি রয়েছে। দ্বন্দ্বও দেখা দেয়ার আশঙ্কা আছে। এসবই বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই তিনটি ডিপার্টমেনট ভিন্নতা ও অসঙ্গতি সৃষ্টি করে ফেলতে পারে।
নতুন বিভাগগুলো কি কাজ করবে, তাদের দায়িত্ব কি, ভূমিকাই বা কি হবে এ বিষয়ে রযেছৈ অস্পষ্টতা। এর ফলে ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন কাজ বিলম্বিত হচ্ছে ও বিঘিœত হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রীর এখন উচিত এই তিন ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রীর মধ্যে গতি আনা।
তবে কিভাবে প্রাথমিক সমঝোতার পথে এগুচ্ছেন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে নীরব রয়েছে। এতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তেরেসা মে কখন লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সক্রিয় করবেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ অনুচ্ছেদ সক্রিয় করলে বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সময় পাবে দু’বছর।
তবে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সহ কয়েকজন পদস্থ ব্যক্তি বলেছেন, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে এ অনুচ্ছেদটি আগামী জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে সক্রিয় করার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু ওই রিপোর্টে এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমাদের বেরিয়ে যাওয়া হবে বৃটেনের জন্য একটি নতুন অধ্যায়। আমরা সারাদেশের জন্য একটি ভাল চুক্তি করতে পারবো এ বিষয়ে আমাদের আস্থা রয়েছে।
ইন্সটিটিউট ফর গভর্নমেন্টের প্রোগ্রাম পরিচালক ও এই রিপোর্টের সহ-লেখক ড. হান্নাহ হোয়াইট বলেছেন, নীরবতা কোনো কৌশল হতে পারে না। আমরা যারা তাড়াতাড়ি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন চাই তাদের কাছে বর্তমান পরিস্থিতিটি বিব্রতকর। প্রধানমন্ত্রী শপথ করেছেন তিনি সমঝোতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না।
কিনতু তাকে দ্রুততার সঙ্গে স্পষ্ট করতে হবে যে, কিভাবে এবং কখন ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। রিপোর্টটির সহ-লেখক জিল রাটার বলেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা অনেকগুলো জটিল সমস্যার মুখোমুখি হবেন। এ জন্য ওই রিপোর্টে সরকারের সব পর্যায় ও অর্থনৈতিক খাতগুলোকে একজন মিলে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাই গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী সরকারযন্ত্রকে এ জন্য সর্বোত্তম একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার জন্য তাড়িত দিয়েছেন। তবে লিবারেল ডেমোক্রেট দলের এমপি টম ব্রেক বলেছেন, এই রিপোর্টে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সরকারের ভিতরকার বিশৃংখলা ও অন্তঃকলহ প্রকাশ পেয়েছে।