বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪

আগাম নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেন তেরেসা মে

আগাম নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেন তেরেসা মে

শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: আবারও ২০২০ সালের আগে বৃটেনে কোনো মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।

কারণ, এমন নির্বাচনের ফলে অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি থাকে। কনজার্ভেটিভ দলের কিছু রাজনীতিক ও প্রচারক আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। সে দাবির প্রেক্ষিতে দ্য সানডে টাইমসকে এক সাক্ষাতকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তেরেসা মে।

সম্প্রতি এমন একটি প্রত্যাশা সামনে এসেছে, যাতে বলা হয়েছে যদি আগাম নির্বাচন দেয়া হয় তাহলে তেরেসা মের দল চারগুণেরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হবে। দ্য টেলিগ্রাফকে কনজার্ভেটিভ পার্টির এমপি জ্যাক বেরি বলেছেন, আগাম নির্বাচন দিলে প্রধানমন্ত্রীকে ৫ বছরের ম্যান্ডেট পাবেন।

এর ফলে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। ২০২০ সালের নির্বাচন ব্রেক্সিট সমঝোতার জন্য একটি কার্যকর নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে বিরোধী লেবার দল সুবিধা পেয়ে যাবে।

সর্বশেষ ইউগভ এর যে জরিপ পরিচালিত হয়েছে তা থেকে দেখা যায় যে, যদি আগামীকালই নির্বাচন হয় তাহলে শতকরা ৩৯ ভাগ মানুষ ভোট দেবেন তেরেসা মে’কে। অন্যদিকে লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিনকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ। কিন্তু দ্য টেলিগ্রাফের হিসাব অন্য।

তারা বলেছে, নির্বাচন হলে চারগুণেরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন তেরেসা মে। হাউজ অব কমন্সে তার দল পাবে ৬২ আসন। বিরোধীরা পাবে ১২ আসন। মে মাসে কনজার্ভেটিভ দলের নেতা হিসেবে নিজের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তেরেসা মে। তারপর তিনি একটি আগাম নির্বাচনের কথা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

তিনি তখন যুক্তি দেখিয়েছিলেন, ওই সময়ে দেশের পার্লামেন্টের সময়সীমা মাত্র এক বছর হয়েছে। এত তাড়াতাড়ি একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার কোনো মানে হয় না। কিন্তু তার কনজার্ভেটিভ দলের কিছু সদস্য মনে করেছিলেন তার মত পাল্টানো উচিত।

তবে গ্রাসরুট কনজার্ভেটিভ নামের একটি গ্রুপের চেয়ারম্যান আগাম নির্বাচন দাবি করাকে মস্তিষ্কশূন্য বলে অভিহিত করেন। ২০১১ ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্টের অধীনে আগাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা আছে। এ আইনের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে ২০২০ সালে। এ আইনটি পাস হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী সহজভাবেই একটি নির্বাচন আহ্বান করতে পারতেন।

কিন্তু এ আইনের অধীনে তার সে ক্ষমতা স্থানান্তরিত হয়েছে হাউজ অব কমন্সের হাতে। এ আইনটি প্রবর্তন করেছিল ২০১০ সালের জোট সরকার। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচন আহ্বানের দুটি পন্থা আছে। তার মধ্যে প্রথম উপায় হলো, যদি দুই-তৃতীয়াংশ এমপি আগাম নির্বাচন সমর্থন করে ভোট দেন। এমনটা হতে হলে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ ও বিরোধী লেবার পার্টি দু’পক্ষ থেকেই ভোট পড়তে হবে। আগাম নির্বাচন দিলে কনজার্ভেটিভ পার্টি ব্যাপকভাবে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও লেবার দলের নেতা জেরেমি করবিন আগাম নির্বাচনে বিশ্বাস করেন।

কারণ, আগাম নির্বাচন দিলে বিভক্ত লেবার দলে তার কর্তৃত্ব পুনঃস্থাপন করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আগাম নির্বাচনের দ্বিতীয় উপায়টি হলো, যদি সরকারের ওপর অনাস্থা ভোট আসে। যদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করা হয় তাহলে অন্য দলগুলোকে নতুন সরকার গঠন করতে ১৪ দিন সময় দেয়া হবে। যদি এ সময়ের মধ্যে তারা সরকার গঠন করতে না পারে তাহলে আগাম নির্বাচন দেয়া হবে।

তবে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের সংবিধান বিষয়ক বিভাগের প্রফেসর রবার্ট হ্যাজেল দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেছেন, এমন কৃত্রিম পন্থা পশ্চাৎদিকে নিয়ে যেতে পারে সব উদ্যোগ। এ পন্থা বিব্রতকরভাবে ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে। বেশ কিছু সংখ্যক বিদ্রোহী কনজার্ভেটিভ সদস্য আগাম নির্বাচনের আহ্বানকে পথচ্যুত করতে পারে।

তবে সরকার ফিক্সড টার্ম পার্লামেন্ট অ্যাক্ট বাতিল বা পাশ কাটিয়ে যেতে পারে সরকার। এমনটা মনে করেন প্রফেসর হ্যাজেল।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2024