শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: এক সময়ের পর্নো স্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাপ্তবয়স্কদের ম্যাগাজিন প্লেবয় প্রযোজিত একটি পর্নো মুভিতে অভিনয় করেছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিউ ইয়র্কের একটি সড়কে প্লেবয় এর লোগো অঙ্কিত একটি লিমুজিন গাড়িতে ফোম সেপ্র করতেও দেখা যায় এ বিলিয়নিয়ারকে। নিউ ইয়র্কের বাফালোয় প্রাপ্তবয়স্কদের একটি ভিডিও স্টোর থেকে এই ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রখ্যাত ওয়েবসাইট বাজফিড।
২০০০ সালে ভিডিও সেন্টারফোল্ড শিরোনামের ওই মুভিতে একটি দৃশ্য ছিল, যাতে সরাসরি কোনো যৌনতা ছিল না। ওই দৃশ্যে দেখা যায়, কয়েকজন স্বল্পবসনা প্লেবয় মডেলের সঙ্গে দেখা যায় ট্রাম্পকে। ট্রাম্পকে এ সময় শ্যাম্পেনের বোতল খুলতে দেখা যায়।
ওয়েবসাইটটি জানায়, ফুটেজের বাকি অংশে সম্পূর্ণ নগ্ন নারীদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে দাঁড়াতে, নাচতে ও একে অপরকে স্পর্শ করতে দেখা যায়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে মানুষের যৌন জীবন এমনকি সেলেব্রেটি সেক্স টেপ নিয়ে এতটা শালীনতা দেখাননি ট্রাম্প। যেমন, ২০০৩ সালে হাওয়ার্ড স্টার্নের সঙ্গে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, তার বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে তিনি প্যারিস হিলটনের সেক্স টেপ দেখেছিলেন।
সম্প্রতি সাবেক মিস ইউনিভার্স অ্যালিসিয়া ম্যাচাদোর বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্প আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারির সমর্থক অ্যালিসিয়া। নব্বইয়ের দশকে ট্রাম্পের মালিকানাধীন মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতেছিলেন তিনি।
তখন ট্রাম্প তাকে বিভিন্ন অবমাননাকর শব্দে ডেকেছেন বলে অভিযোগ করে তোলপাড় বাধিয়ে দেন অ্যালিসিয়া। এমনিতেই নারীদের অপমানজনক কায়দায় ডাকার অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
অ্যালিসিয়ার দাবির পর এ অভিযোগ নতুন মাত্রা পায়। এরই প্রত্যুত্তরে পরশু ট্রাম্প টুইটারে এক গাধা অভিযোগ আনেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। টুইটারে তাকে বিরক্তিকর আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, অ্যালিসিয়ার সেক্স টেপ রয়েছে। অনুসারীদের ওই সেক্স টেপ চেক করতেও বলেন তিনি।
যদিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এ ধরনের কোনো সেক্স টেপ অ্যালিসিয়ার নেই। তার নামে বেশ কিছু ফুটেজ বিভিন্ন সাইটে পাওয়া যায়, যেগুলো আদতে অ্যালিসিয়ার নয়। কিন্তু এবার বেরিয়ে এল, অ্যালিসিয়ার সেক্স টেপ না থাকলেও, খোদ ডনাল্ড ট্রাম্পই পর্নো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন!